সর্বনাশ, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘন্টাই মোবাইলে আসক্ত, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হতে পারে মৃত্যুও

Published : Jun 02, 2021, 01:10 PM IST
সর্বনাশ, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘন্টাই মোবাইলে আসক্ত, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হতে পারে মৃত্যুও

সংক্ষিপ্ত

 ২৪ ঘন্টার মধ্যে মোবাইলে কিংবা কম্পিউটারের নেশায় আসক্ত যার থেকে মস্তিষ্কে বাসা বাঁধছে নানা জটিল রোগ অতিরিক্ত মোবাইল ঘাটলে চোখের দৃষ্টিশক্তিও ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে এমন কী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েও হতে পারে মৃত্যু  

 সারাক্ষণই মোবাইলে কিংবা কম্পিউটারে ব্যস্ত। কাজের প্রয়োজনে হোক কিংবা টাইমপাস। ডিজিট্যাল মাধ্যমে আপডেট থাকাই যেন নতুন প্রজন্মের কাছে হাল ফ্যাশন। যত দিন যাচ্ছে,  তত মানুষ যেন মেশিনে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। সারাদিনের ২৪ ঘন্টা যেন কম হয়ে যাচ্ছে মানুষের জন্য। সারাদিনতো চলছেই, এর পাশাপাশি রাতের ঘুমোনোর সময়েও বাড়েছে এর প্রবণতা। যতক্ষণ ঘুম আসছে না ততক্ষণই চলতে থাকে ফেসবুক,হোয়াটস অ্যাপ আরও নানান সাইটে চোখ বোলানো। আর এর থেকেই ক্ষতি হচ্ছে শরীর-মস্তিষ্ক-চোখের।

আরও পড়ুুন-জানেন কি, প্রতিমাসে নূন্যতম ১০০ টাকা করে জমালেই মিলবে মোটা অঙ্কের রিটার্ন...

দৃষ্টিশক্তি কমে আসে

একটানা মোবাইল ঘাটলে মোবাইলের নীল আলো সরাসরি চোখের উপর পড়ে। তারপর শুরু হয় চোখের ব্যথা। আর দীর্ঘদিন ধরে এটা হতে থাকলে একসময়ে দৃষ্টিশক্তি কমে গিয়ে অন্ধত্বও চলে আসতে পারে।

ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়ে

মোবাইলের নীল আলোর কারণে মেলাটোনিন হরমোন নয়, তার পাশাপাশি সব হরমোন ক্ষরণেই বাঁধা আসতে থাকে। যার ফলে শরীরে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের ঘাটতি দেখা যায়, যা ক্যান্সার রোগে বিশেষত প্রস্টেট ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। 

মস্তিষ্কের ক্ষতি

ঠিকমতো ঘুম না হলে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা কমতে শুরু করে। ফলে ধীর ধীরে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। শুধু তাই নয়, ব্রেনের মধ্যে নানা সমস্যা শুরু হতে থাকে। ফলে মস্তিষ্কে নানা জটিল রোগ বাসা বাঁধে।

 

 

রেটিনার উপর চোট পরে

অন্ধকারে মোবাইল ঘাটলে মোবাইলের নীল আলো সরাসরি চোখের উপর পড়ে। যার ফলে রেটিনার কর্মক্ষমতা কমতে শুরু করে। দীর্ঘদিন ধরে একটানা এই কাজ করেল অন্ধত্বও অনিবার্য। অন্ধত্বের মতো কঠিন রোগ থেকে বাঁচতে মোবাইল থেকে দূরে থাকুন।

রাতের বেলা একদম নয়

অন্ধকারের মধ্যে মোবাইল ব্যবহার করলে মোবাইলের থেকে যে নীল আলো বের হয় তা চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। সেই সঙ্গে শরীরের মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণও কমিয়ে দেয়। ফলে ঘুম আসতে চায় না। আর ঠিকমতো ঘুম না হলে শরীরে বাসা বাঁধে একের পর এক জটিল রোগ। এছাড়াও সেখান থেকে দেখা যায় শরীরের নানান সমস্যা। আপনারও যদি এই অভ্যেস থেকে থাকে তাহলে আজ থেকেই বন্ধ করুন এটি করা। 

PREV
click me!

Recommended Stories

বাড়িতে সবচেয়ে বেশি জীবাণু এখানেই পাওয়া যায়
বাড়ির বারান্দা সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন এই কয়টি গাছের মধ্যে একটি, রইল তালিকা