রিজার্ভ ব্যাংকের নির্দেশ অনুসারে, ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্ক গুলি সমস্ত ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তির উপর মার্চ থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত "মোরাটোরিয়াম" ঘোষণা করেছিল। এর পরেও গ্রাহকদের অনুরোধের ভিত্তিতে ঋণের কিস্তিতে মোরাটোরিয়াম-এর সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে, সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো আসে নি। এর মধ্যই সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু ভুয়ো খবরের পোস্ট ও বিভ্রান্তিকর ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে যেগুলিতে বলা হচ্ছে বন্ধন ব্যাঙ্ক, আশা, আরোহন ও অন্যান্য ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার ঋণের কিস্তি মকুব করে দেওয়া হয়েছে।
কোনও কোনও ভিডিওতে এরকমও বলা হচ্ছে যে দু বছর পর্যন্ত সমস্ত ঋণ মকুব করে দিয়েছে ব্যাংকগুলি। এই খবর গুলির কোনও সত্যতা নেই। "মোরাটোরিয়াম" শব্দটির অর্থ স্থগিতাদেশ। এখনো পর্যন্ত সরকারি নির্দেশে যা বলা হয়েছে, তা হলো ঋণের কিস্তি আদায় পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে, যদিও সেটা ঋণ সংস্থা ও ঋণ গ্রহীতার সিদ্ধান্তের উপরে নির্ভরশীল।
এই ধরণের ভিডিও দেখে ভ্রান্ত ধারণার শিকার হয়ে গ্রাহকরা যদি কিস্তি মেটানো বন্ধ করে দেন তাহলে সরাসরি তাদের ক্রেডিট স্কোরের উপর এর প্রভাব পড়বে। এই অবস্থায় পরবর্তীকালে কোনও ঋণ নিতে গেলে তারা সমূহ সমস্যায় পড়বেন। এই ধরণের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঋণের কিস্তি সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া চ্যানেলগুলির মূল উদ্যেশ্য হলো মানুষকে বিভ্রান্ত করা। এই ধরণের ভিডিও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের ও ক্ষুদ্রঋণের গ্রাহকদের বিশেষভাবে প্রভাবিত করছে এবং সেই সুযোগ নিয়ে নিজেদের চ্যানেলের ভিউ বাড়ানোর জন্যে আরো বেশি করে বিভ্রান্তিকর ভিডিও তৈরী করা ও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কোনও ব্যাঙ্ক, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বা সুপ্রিম কোর্ট কখনোই ঋণ মকুব করার কথা বলে নি। তাই যে সমস্ত ঋণগ্রহীতারা ঋণ বা ঋণের কিস্তি সম্পর্কে বিশদে জানতে চান, তারা কোনও ভুয়ো তথ্যে বিশ্বাস না করে, সরাসরি তাদের নিকটবর্তী ব্যাঙ্ক শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।