চুমু খেলে সৌন্দর্যও যে বাড়ে, সে খবর জানা ছিল কি। গবেষণা বলছে দাঁড়িয়ে চুমু খেলে, ক্যালরি আরও দ্রুত কমে যায়।
চুমু (Kissing)। এই ছোট্ট একটা শব্দ সম্পর্কের রসায়ন (Relation) থেকে গভীরতা বাড়িয়ে তোলে। তবে শুধু সম্পর্কই নয়। চুমু খেলে সৌন্দর্যও (Beauty) যে বাড়ে, সে খবর জানা ছিল কি। গবেষণা বলছে দাঁড়িয়ে চুমু খেলে, ক্যালরি আরও দ্রুত কমে যায়। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, চুমু খাওয়ার সময় যত বড় করে নিশ্বাস নেওয়া যাবে, তত বেশি ক্যালরিও কমবে। এজন্য প্রিয়জন হোক কিম্বা নিজের ছোট্ট সন্তান বা অন্য কাউকে। মোট কথা, প্রিয়জনকে কাছে পেলেই চুমু খেয়ে নিন।
এতে মন তো ফুরফুরে হবেই, ক্যালরিও কমবে। প্রতিদিন যদি আপনি ১ মিনিট করে চুমু খান, তাহলে প্রায় ৫ ক্যালরি পর্যন্ত ওজন কমতে পারে আপনার। অর্থাৎ, প্রতিদিন যদি আপনি ১০ মিনিট করে চুমু খান, তাহলে ৫ পাউন্ডের মত ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব হবে। তাই ব্যাপারটা মোটেও এড়িয়ে যাওয়ার মতো নয়।
এরই সঙ্গে যোগ হচ্ছে সৌন্দর্যের বৃদ্ধির ব্যাপারটাও। আপনি কি জানেন স্ট্রেসের জন্য ত্বক বুড়িয়ে যায়। সেই প্রক্রিয়াকেই আটকায় একটা চুমু। গবেষণা বলছে চুম্বন মস্তিষ্ককে প্রশমিত করে চাপ প্রশমিত করে। চুমুর জন্য ফেস লিফ্টও হয়। সাধারণ মানুষ তাঁদের জীবনের ২০ হাজার মিনিট যদি চুমু খায়, তবে তার লাভ পাবে অসাধারণ। বলা হচ্ছে চুমু খেলে ইমিউনিটি বাড়ে। ত্বক ও নাকের সংবেদনশীলতা প্রভাবিত হয়।
চুম্বন মুখের পেশীর দারুণ ব্যায়াম। আপনি কি জানেন, ক্রমাগত চুম্বনে ৩৪টি মুখের পেশী এবং ১১২টি অঙ্গবিন্যাস পেশী যুক্ত হয়, যাদের ব্যায়ম হয়? এটি মুখের পেশীগুলিকে শক্ত রাখতে সাহায্য করে, আলগা ঝুলে যাওয়া গালগুলিকে প্রতিরোধ করে। একটি চুম্বন পেশীগুলির স্ট্রেন বজায় রেখে ত্বককে মসৃণ করতে সাহায্য করে। রক্তসঞ্চালন তৈরি করতে সহায়তা করে।
চুম্বন আপনার ঠোঁট, জিহ্বা, গাল, মুখ, চোয়াল এবং ঘাড়ের পেশীকে একটি দারুণ ব্যায়াম করাতে পারে। অনেক ছোট ছোট মুখের পেশী কাজ করে, তারা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় যা কম বলিরেখা ফেলে গোটা মুখে। বার্ধক্যকে আটকায়। তাই এই তথ্য শুধু আপনার জীবনে রোমান্স বাড়াতেই সাহায্য করবে না, কমাবে শরীরের রোগভোগও। তাই এক ঢিলে দুই পাখি মেরে দেখতেই পারেন। এই লকডাউনে সঙ্গীর সঙ্গে ঘরে বসে সময় কাটানোর জন্য চুমুর বিকল্প নেই।