আগে যেরকম বাজারে পাওয়া যেত ফুলকপি, এখন তেমন ব্রকোলি। যদিও ফুলকপির স্বাদ ও ব্রকোলির স্বাদ এক নয়। কিন্তু ব্রকোলির রয়েছে অনেক গুণ।
ভিটামিন, মিনারেল, অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট ও ফাইবারে সমৃদ্ধ সবজি হল ব্রকোলি। এককাপ বা ৯০ গ্রামের মতো কাঁচা ব্রকোলি থেকে পাওয়া যায় ৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। পাওয়া যায়, ২.৬ গ্রাম প্রোটিন, ০.৩ গ্রাম ফ্য়াট, ২.৪ গ্রাম ফাইবার। এছাড়া থাকে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-বি-৯ বা ফোলেট, পটাশিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম।
কাঁচা হোক বা রান্না করা, ব্রকোলিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি। ব্রকোলিতে থাকা লিউটেন, জিয়াজ্য়ানথিন-সহ বিভিন্ন অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের সেল ও টিস্য়ুকে রক্ষা করে। ব্রকোলিতে থাকা বিভিন্নরকম বায়োঅ্য়াকটিভ কমপাউন্ড, আমাদের শরীরের বিভিন্নরকম প্রদাহ কমাতে সাহায্য় করে। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ব্রেস্ট, প্রস্টেট, কোলোরেকটাল, গ্যাসট্রিক বা স্টম্য়াক, রেনাল বা কিডনি, ব্লাডার ক্য়ানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য় করে ব্রকোলি।
ব্লাডসুগার লেভেল কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে ব্রকোলিতে থাকা ফাইবার ও অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট। হার্ট ডিজিজের যে রিস্ক ফ্য়াকটর রয়েছে, ব্রকোলি সেগুলোকে কমায়। সেইসঙ্গে হার্ট সুরক্ষিত রাখে। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাকে চাঙ্গা করে ব্রকোলিতে থাকা বায়োঅ্য়াকটিভ কমপাউন্ড।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ব্রকোলিতে থাকা বায়োঅ্য়াকটিভ কমপাউন্ড সালফোরেফেন বয়স বেড়ে যাওয়া বা এজিং প্রসেসকে স্লো করে। ব্রকোলিতে বেশি মাত্রায় থাকে ভিটামিন-সি। এটি আমাদের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায়। ব্রকোলিতে থাকা ভিটামিন-সি ও ক্য়ালশিয়াম মুখ ও দাঁতের স্বাস্থ্য়রক্ষায় ভাল কাজ করে। এতে থাকা ভিটামিন-কে, ফসফরাস ও ক্য়ালশিয়াম ও বিভিন্ন অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট, হাড়ের স্বাস্থ্য়রক্ষা করে ও বিভিন্ন গাঁটের সমস্য়াকে প্রতিরোধ করে। ব্রকোলিতে থাকা ভিটামিন-বি-৯ বা ফোলেট গর্ভস্থ ভ্রুণের মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডের বিকাশে সাহায্য় করে।