আমাদের অনেক কিছুই পাল্টে গিয়েছে, কিন্তু পথের ধারে দাঁড়িয়ে ভুট্টা খাওয়ার অভ্য়েস এখনও রয়ে গিয়েছে। এই ফাস্টফুডের যুগেও কী ভাগ্য়িস রয়ে গিয়েছে এই অভ্য়েস। এই ভুট্টা কিন্তু প্রত্য়ক্ষ বা পরোক্ষভাবে অনেক উপকার করে শরীরের। আসুন জেনে নেওয়া যাক।
কোলেস্টেরল কমানো থেকে শুরু করে ক্য়ানসার প্রতিরোধ, এমনকি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ভুট্টার জুড়ি মেলা ভার। ভুট্টায় থাকে ভিটামিন-সি, বায়োফ্ল্য়াভোনয়েড, ক্য়ারটিনয়েড, ফাইবার। এগুলো কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য় করে। খিদে পেলে আগুনে পোড়ানো ভুট্টা খান। ফাস্টফুড বাদ দিন। বাদ দিন পেস্ট্রি, পিৎজা, বার্গার। দেখবেন অনেক উপকার পাবেন। ভুট্টা খুব-একটা হাই ক্য়ালোরির খাবার নয়। তাই ওজন বাড়ে না, পেটও ভরে। উপরন্তু, ফাস্টফুড খেলে যে কোষ্ঠকাঠিন্য়ের সমস্য়া বাড়ে, ভুট্টায় তা হয় না। বরং পেট পরিষ্কার হয়।
ভুট্টায় থাকে ফেরুলিক অ্য়াসিড। ব্রেস্ট টিউমার বা লিভার টিউমারের আকার কমাতে সাহায্য় করে। ফলে ক্য়ানসারের আশঙ্কা কমে। ভুট্টায় থাকা অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট, ফ্ল্য়াভোনয়েড ক্য়ানসারকোষের বাড়বাড়ন্ত রোধ করে।
গর্ভবতী মায়েদের জন্য় ভুট্টা খুব উপকারী। গর্ভসঞ্চার হওয়ার পর থেকে গর্ভস্থ ভ্রণের বৃদ্ধি পর্যন্ত ভালরকম পুষ্টির দরকার হয়। সেই পুষ্টি জোগায় ভুট্টা। ভুট্টায় থাকা ফলিক অ্য়াসিড গর্ভস্থ ভ্রুণের বেড়ে ওঠার জন্য় প্রয়োজনীয়।
আগেই বলা হয়েছে, ভুট্টা কোষ্ঠকাঠিন্য় কমায়। ভুট্টায় থাকে প্রচুর পরিমাণে রাফেজ। ফলে পেট পরিষ্কার হয়। এছাড়া ত্বক ভাল রাখতে আর হাড় শক্ত রাখতেও ভুট্টার জুড়ি নেই। ভুট্টায় থাকে ভিটামিন-সি আর অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট। যা ত্বক ভাল রাখে। আর, জিঙ্ক, ফসফরাস, ম্য়াগনেশিয়াম, আয়রন হাড়ের স্বাস্থ্য় ভাল রাখে।