
Skincare Tips: শরীরের অবাঞ্চিত লোম তুলতে সবচেয়ে জনপ্রিয় এখন ওয়্যাক্সিং। তাই বলে কি মুখের লোম তুলতেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করছেন? আজই বন্ধ করুন তবে এই অভ্যাস। এতে ত্বকের যেমন ক্ষতি হয়, তেমনই বেদনাদায়কও, কারণ মুখের ত্বক ভীষণ সংবেদনশীল। এমনকি বিশেষজ্ঞরাও বারণ করেন মুখে ওয়্যাক্সিং করাতে। নিয়মিত এই অভ্যাস অজান্তেই আপনার ত্বকের ক্ষতি করছে। র্যাশ, জ্বালাভাব, রুক্ষতা, বার্ধক্যের ছাপও ফেলে দেয় ত্বকে।
আসুন জেনে নিই মুখে ওয়াক্সিং করলে কী কী ক্ষতি হয় ত্বকের?
১.ত্বকের ইলাস্টিসিটি নষ্ট হয়ে যায়
আমাদের ত্বক ইলাস্টিকের মত, প্রসারিত হতে পারে আবার আগের অবস্থাতেও ফিরে যেতে পারে। তবে দীর্ঘদিন ধরে ওয়্যাক্সিং করতে থাকলে ত্বকে ক্রমাগত টান পড়ে এবং এতে ত্বকের ইলাস্টিসিটি নষ্ট হয়। ফলে চামড়া কুঁচকে যাওয়া, বলিরেখা দেখা দেওয়া - এগুলির মতো অকাল বার্ধক্যের সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে।
২. ইনগ্রোন হেয়ারের সমস্যা বাড়ে
অনেক সময়ই দেখে থাকবেন ওয়্যাক্সিং করলে ইনগ্রোন হেয়ারের সমস্যা হয়। ওয়্যাক্সিং করার সময় কিছু রোম কালো হয়ে ত্বকের ভিতরেই গুটিয়ে থাকে, এগুলো ইনগ্রোন হেয়ার। এর থেকে অনেক সময় ব্রণ বা ফুসকুড়ি হতে পারে, ত্বকের কোমল ভাব নষ্ট হয়, অমসৃণ দেখায় ত্বক।
৩. র্যাশ ও জ্বালাভাব হয়
ওয়্যাক্সিং করলে অনেকেরই মুখের র্যাশ উঠে লাল হয়ে ফুলে ফুলে যায়। অনেক সময় আবার অনেক সময় আবার ওয়্যাক্সিং করার প্রসাধনীতে বা ওয়্যাক্সিং করার পর সঠিক যত্ন না নিলে এমনটা হতে পারে।
তবে উপায় কী ? মুখের অবাঞ্চিত লোম পরিষ্কার করবেন কীভাবে?
মুখের অবাঞ্ছিত লোম তুলতে মহিলারা ওয়্যাক্সিং ছাড়াও ফেসিয়াল রেজার ব্যবহার করে একাজ সম্পন্ন করে থাকেন। এই পদ্ধতি দ্রুত, সহজ, ব্যাথামুক্ত এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনাও নেই কোনো। তবে অবশ্যই সঠিক কৌশলে করতে হবে।
এছাড়াও এখন ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে যে পদ্ধতি, সেটা হল লেজার হেয়ার রিমুভাল। অনেক বেশি কার্যকর এবং দীর্ঘস্থায়ী সমাধান এটি। ফল চিরস্থায়ীও হতে পারে, তবে বেশ কয়েক মাস ধরে চলে এই পদ্ধতি এবং বেশ খরচা সাপেক্ষ। এতে লেজার আলো ব্যবহার করে রোমের গোড়া পর্যন্ত নষ্ট করে দেওয়া হয়, যাতে নতুন রোম গজানোর প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। আধুনিক লেজার পদ্ধতি যন্ত্রণাহীনও বটে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।