
ভারতীয় রান্নাঘরে ঘি-এর ব্যবহার প্রাচীন। খাবারে স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে ঘি অপরিহার্য উপাদান। চিকিৎসকরাও বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলকেই রোজ অন্তত ১ চামচ ঘি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে ঘি কেবল শরীরের পুষ্টির জন্যই নয়, ত্বকের যত্নেও ঘি একটি আশ্চর্য উপাদান।
ঘি-এর উপকারিতা
১। প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার
ঘি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে প্রাকৃতিক আর্দ্রতা প্রদান করে। এটি বিশেষভাবে উপকারী শুষ্ক ও ফাটা ত্বকের জন্য। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয়ে ওঠে নরম ও কোমল।
অ্যান্টি-এজিং গুণাগুণ
ঘি-তে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকে বলিরেখা, ফাইন লাইন এবং বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে।
৩। উজ্জ্বল ত্বক
ঘি-এর নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসে। ক্লান্ত ও নিস্তেজ ত্বক হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত ও দীপ্তিময়।
৪। ব্রণ কমাতে সাহায্য করে
ঘি-তে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ত্বকে প্রদাহ কমায়, ফলে ব্রণ ও লালচে দাগ ধীরে ধীরে হ্রাস পায়।
৫। ডার্ক সার্কেল ও বলিরেখা দূর করে
চোখের নিচে ঘি আলতো করে মালিশ করলে ডার্ক সার্কেল ও বলিরেখা কমে যায়। এটি ত্বককে রিল্যাক্স করে এবং ঠান্ডা অনুভূতি দেয়।
৬। ঠোঁটের যত্নে
কালো বা ফাটা ঠোঁটে ঘি নিয়মিত লাগালে ঠোঁট নরম ও গোলাপি হয়ে ওঠে। এটি প্রাকৃতিক লিপ বাম হিসেবেও কাজ করে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন ঘি?
* রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এবার ঘি নিয়ে আলতো হাতে ম্যাসাজ করুন। ১৫-২০ মিনিট রেখে, গরম জলে তোয়ালে চুবিয়ে মুছে নিন মুখ।
* গুঁড়ো হলুদের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে বানিয়ে নিন ফেসপ্যাক। এটি মুখে মেখে রেখে দিন ৫-১০ মিনিট। তারপর মুখ ধুয়ে নিন।