ত্বকের যত্নে একটু অবহেলা করলে তার এর কুফল স্পষ্টভাবে দেখা যায়। বিশেষ করে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া জরুরি।
ত্বকের যত্নে একটু অবহেলা করলে তার এর কুফল স্পষ্টভাবে দেখা যায়। বিশেষ করে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া জরুরি। সঠিক ত্বকের যত্ন না মানলে ত্বক অকালেই তার উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে, ত্বক কুঁচকে যেতে শুরু করে, ত্বকে ও দাগ পড়ে এবং ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে।
ত্বকের সঠিক যত্ন নিলে ৪০ বা ৫০ বছর বয়সেও ত্বক ২০ বছর বয়সের মতোই তরুণ ও উজ্জ্বল দেখায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক এমনই কিছু অ্যান্টি-এজিং স্কিন কেয়ার টিপস এবং ঘরোয়া প্রতিকার যা ত্বককে বছরের পর বছর তরুণ রাখতে সাহায্য করবে।
দই এবং শসার ফেসপ্যাক শসা শুধুমাত্র মুখের ফোলাভাব এবং কালো দাগ দূর করতেই সাহায্য করে না। এ ছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য। শসা গ্রেট করে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে হবে। এই ফেসপ্যাকটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখলে উপকার পাওয়া যায়।
নারিকেলের দুধ বার্ধক্যজনিত ত্বকের উন্নতিতে নারকেলের দুধ উপকারী। নারকেলের দুধে মিনারেল ও ভিটামিন থাকে। এই তেল মুখে লাগালে ত্বকে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা পাওয়া যায়। তাজা নারকেল কুড়িয়ে নিয়ে তা থেকে দুধ বের করা যায়। এটি মুখে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রাখতে হবে এবং তারপর মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে । নারকেলের দুধও প্রতিদিন ফেস টোনার হিসেবে লাগাতে পারেন। এর অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্যগুলি ভাল প্রভাব দেখায়।
পেঁপে ফেস মাস্ক অ্যান্টি-এজিং গুণে সমৃদ্ধ পেঁপে ত্বককে তরুণ রাখে। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বলিরেখা কমাতেও কার্যকর। পেঁপে পিষে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে এবং এই পেস্টটি মুখে ২০ থেকে ২৫ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে । এই ফেসপ্যাক সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে পারেন।
গোলাপ জলের টোনার মুখে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য দিতে গোলাপজল টোনার লাগাতে পারেন। গোলাপ জল মুখের ত্বকের মৃত কোষ দূর করে। গোলাপজল পরিষ্কারভাবে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন অথবা লেবুর রস ও গ্লিসারিন মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন।