
কোনোরকম রাসায়নিক প্রসাধনী নয়, প্রাকৃতিক উপায়েই তৈরী হবে হেয়ার প্যাক।
২০১৭ সালে জার্নাল অফ কসমেটিক ডার্মাটোলজি -তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, ডিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন, প্রোটিন এবং খনিজ উপাদান চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। ডিমে থাকা প্রোটিন চুলের গজ বাড়ায় এবং চুল ঝরা প্রতিরোধ করে। ডিমের কুসুমের মধ্যে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড চুলকে মশ্চারাইজড ও চকচকে করে। ডিম এতো উপকারে লাগলে ডিমের খোঁসা নয় কেন?
পার্লারে করি করি টাকা আর ঘন্টার পর ঘন্টা বসে কাটিয়ে দেওয়ার পরেও চুলের ঘনত্ব ও জেল্লা ফিরছে না। দামি শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, সিরাম সহ রাসায়নিক দেওয়া সময়তো প্রসাধনী ব্যবহার করেও লাভ হচ্ছে না। এবার তবে নাহয় ঘরোয়া উপায়ের ওপর ভরসা করে দেখুন। ফ্রিজে রাখা 7 টাকার ডিমকে কাজে সিল্কি ও ঘন হয়ে উঠুক আপনার চুল।
চুলের যত্নে ডিমের খোসা ব্যবহারের উপায়
১. ১ চামচ নারকেল তেলের সাথে ২. চামচ গুঁড়ো করা ডিমের খোসা মিশিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন হেয়ার প্যাক। মিশ্রণটি মাথায় মেখে ম্যাসাজ করুন ভালো করে। ৩০-৪৫ মিনিটের জন্য রেখে মাইল্ড কোনো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নারকেল তেল একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার যা মাথার ত্বক এবং চুলকে পুষ্টি জোগায়, অন্যদিকে ডিমের খোসার গুঁড়ো চুলের বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ সরবরাহ করে। দুটিকে একসাথে করে হেয়ার প্যাক তৈরি করে লাগালে চুলের ফলিকলগুলোকে উদ্দীপিত হয় এবং চুল ঝরা বা ভেঙে যাওয়া রোধ হয়।
২. অ্যালোভেরা চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে আর ডিমের খোসা প্রোটিন সরবরাহ করে। এই দুইয়ের মিশ্রণ চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খুবই উপযোগী। এক চামচ ডিমের খোসার গুঁড়োর সঙ্গে ২ চামচ অ্যালোভেরা মিশিয়ে পুরো চুলে মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর উষ্ণ জলে চুল ধুয়ে নিন ভালো করে। চুল সিল্কি ও ঘন মজবুত করতে সাহায্য করবে এই মিশ্রণটি।
৩. আপনার ব্যবহৃত শ্যাম্পুর সঙ্গে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। সপ্তাহে তিন দিন এই শ্যাম্পু করলে চুলের গোড়ায় জমে থাকা ধুলোময়লা ও মৃত কোষ দূর হবে। এটি স্ক্যাল্পের স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে। রুক্ষ চুল নরম ও মসৃণ হবে।