বর্ষাকালে ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়। কিছু সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করলেই বর্ষাকালে ত্বকের সাধারণ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। বর্ষাকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার টিপস জেনে নিন।
বর্ষাকালে বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতা এবং দূষণের কারণে ত্বকে ব্যাকটেরিয়া এবং ময়লা সহজেই জমা হয়। এটি ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে দেয় এবং ব্রণ সহ অন্যান্য ত্বকের সমস্যার সৃষ্টি করে।
210
তাই, বর্ষাকালে প্রতিদিন দুবার (সকাল এবং রাতে) একটি মৃদু, pH-সমন্বিত ক্লিনজার ব্যবহার করে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করা প্রয়োজন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য স্যালিসিলিক অ্যাসিডযুক্ত ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন।
310
ত্বক পরিষ্কার করার পর টোনার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। বর্ষাকালে ত্বকের ছিদ্রগুলি প্রসারিত হতে পারে।
টোনার ত্বকের pH লেভেল সুষম করে, ছিদ্রগুলিকে সংকুচিত করে এবং অতিরিক্ত তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অ্যালকোহলমুক্ত, প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ টোনার ব্যবহার করাই ভালো। গোলাপজল টোনার হিসেবে ব্যবহারের জন্য একটি ভালো প্রাকৃতিক উপায়।
510
বর্ষাকালে ত্বক অতিরিক্ত আর্দ্রতা শোষণ করে বলে অনেকে মনে করেন ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজন নেই। কিন্তু এটি ভুল।
610
বর্ষাকালেও ত্বকের হাইড্রেশন প্রয়োজন। তেলমুক্ত, হালকা জেল-ভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক পর্যাপ্ত আর্দ্রতা পায়। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা স্তরকে রক্ষা করে এবং শুষ্কতা প্রতিরোধ করে।
710
মেঘলা বর্ষাকালে সূর্যের আলো কম থাকলেও, অতিবেগুনী রশ্মি মেঘ ভেদ করে ত্বকে ক্ষতি করতে পারে। তাই, সানস্ক্রিন ব্যবহার করা বর্ষাকালেও গুরুত্বপূর্ণ।
810
কমপক্ষে SPF 30 সম্পন্ন, জলরোধী সানস্ক্রিন বাইরে যাওয়ার আগে ব্যবহার করুন। এটি ত্বককে অতিবেগুনী রশ্মির ক্ষতি থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি পিগমেন্টেশন এবং অকাল বার্ধক্য রোধ করে।
910
বর্ষাকালে মৃত ত্বকের কোষ এবং ময়লা ত্বকে জমা হয়ে ত্বককে নিস্তেজ করে তোলে। সপ্তাহে একবার বা দুবার মৃদু স্ক্রাব ব্যবহার করে ত্বক এক্সফোলিয়েট করলে মৃত কোষ দূর হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
1010
এছাড়াও, ক্লে মাস্ক বা চন্দন, মুলতানি মাটি ইত্যাদি দিয়ে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করলে অতিরিক্ত তেল শোষিত হয়, ছিদ্র পরিষ্কার হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
এই টিপসগুলি অনুসরণ করলে বর্ষাকালেও আপনার ত্বক উজ্জ্বল, সুস্থ এবং সমস্যা মুক্ত থাকবে।