হেলথ ডেস্ক। শীতকালে প্রায়ই মানুষের ত্বকে র্যাশ বা রুক্ষতা দেখা দেয়। কিন্তু যদি এটি আপনাকে সবসময় বা যেকোনো ঋতুতেই হয়রান করে, তাহলে এর পেছনে অন্য কারণ থাকতে পারে। যার মধ্যে একটি হল মানসিক চাপ। আসলে, মানসিক চাপ আপনার ত্বকের স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করতে পারে। মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের কারণে মুখ, বাহু বা শরীরের যেকোনো অংশে ব্রণ বা র্যাশের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সৌদি মেডিকেল জার্নালের গবেষণা অনুসারে, অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকা মেডিকেল ছাত্রদের মাথার ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায় এবং ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। অন্যদিকে, কারও কারও ত্বক শুষ্কতার সম্মুখীনও হতে হয়। এর ফলে ত্বকে চুলকানি, র্যাশ এবং লালচে ভাব দেখা দেয়।
মানসিক চাপের সময় শরীরে কর্টিসল নামক হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই হরমোন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়, যার ফলে ত্বকে সংক্রমণ এবং র্যাশের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়াও শরীরে হাইপোথ্যালামাস পিটুইটারি অ্যাড্রিনাল অর্থাৎ এইচপিএ সক্রিয় হয়ে ওঠে। এর ফলে শরীরে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং মাস্ট কোষ নির্গত হয়। মাস্ট কোষ চুলকানিযুক্ত, চুলকানি ত্বকের কারণ হয়ে ওঠে।
এছাড়াও মানসিক চাপের কারণে শরীরে প্রদাহ বেড়ে যায়, যা ত্বকে লালচে ভাব, চুলকানি এবং র্যাশ হিসেবে দেখা দিতে পারে। শুধু তাই নয়, মানসিক চাপের কারণে একজিমা, সোরিয়াসিস এবং রোসাসিয়া-র মতো ত্বকের সমস্যাগুলি বৃদ্ধি পেতে পারে।
২. ত্বকের যত্নের রুটিন: ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন: ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ত্বককে কঠিন রাসায়নিক থেকে রক্ষা করতে মাইল্ড ক্লিনজার ব্যবহার করুন। বাইরে যাওয়ার সময় সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না।
৩. খাদ্যের প্রতি মনোযোগ দিন: আপনার খাদ্যতালিকায় ফল, শাকসবজি এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা ত্বককে সুস্থ রাখে। অতিরিক্ত ক্যাফিন এবং চিনি ত্বকের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৪. পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ভালো ঘুমান। এটি মানসিক চাপ কমাতে এবং ত্বকের মেরামতে সাহায্য করে। যদি মানসিক চাপ এবং ত্বকের র্যাশ দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, তাহলে ত্বক বিশেষজ্ঞ এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন।