
বাগান, ছাদ বাগান, ব্যালকনি ছাপিয়ে এখন ঘর সাজাতেও মানুষ সবুজের ছোঁয়া রাখে। বিভিন্ন ইনডোর প্ল্যান্ট, ক্যাক্টাসের আলাদা আলাদা প্রজাতি, বনসাই সবই জায়গায় পায় সিটিং এরিয়া বা বেডরুমের জানালায়। কিন্তু শুধু গাছ ঘরে আনলেই সব কাজ শেষ হয়ে যায় না। প্রতিটি গাছের আলাদা পরিচর্যার প্রয়োজন। ভুল যত্নে দামি গাছও কয়েক দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে কিছু গাছ রয়েছে যেগুলির জন্য বাড়তি সময়, অভিজ্ঞতা ও পরিবেশ দরকার। এই প্রতিবেদনে রইল তেমনই তিনটি গাছের কথা উল্লেখ করা হলো, যেগুলি কেনার আগে আরেকবার ভেবে দেখা দরকার।
১। বনসাই
বনসাই দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনই এর যত্ন নেওয়াও বেশ জটিল। বড় গাছকে ছোট করে গড়ে তুলতে হয় বছরের পর বছর ধরে সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। আসলে বনসাই শব্দটি জাপানি। ‘বন’ মানে টব বা ছোট পাত্র, ‘সাই’-এর অর্থ মাটিতে পুঁতে দেওয়া গাছ। অশ্বত্থ, বটের মতো গাছও বনসাই করা যায়। নিয়মিত ছাঁটাই, চারা থেকেই গাছের বৃদ্ধির নিয়ন্ত্রণ, এবং নির্দিষ্ট পাত্রে রোপণ—এসব কাজ এক জন দক্ষ হতে হয়, নাহলে গাছ মরে যেতে পারে। যদি বনসাই নিয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা না থাকে, তবে এই গাছ ঘরে না আনাই ভালো।
২। অর্কিড
অর্কিড তার ফুলের অপূর্ব সৌন্দর্যের জন্য জনপ্রিয়, কিন্তু এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল গাছ। ভারতের আবহাওয়ার গরম ও আর্দ্রতা সব প্রজাতির অর্কিডের জন্য উপযুক্ত নয়। আবার পাহাড়ি এলাকায় যে ফুল সহজে ফোটে তা শহরের গরমে তা হতে চায় না। তাই কোন প্রজাতি নিচ্ছেন, তা না জেনে শুধুমাত্র ফুল দেখতে ভালো লাগছে বলে অর্কিড কিনে ফেললে, তা বাঁচানো বেশ কঠিন।
৩। ফিড্ল লিভ ফিগ
বড় পাতা ও আকর্ষণীয় গড়নের জন্য অনেকেই বাড়িতে ফিড্ল লিভ ফিগ লাগাতে পছন্দ করেন। তবে এই গাছের জন্য প্রয়োজন নিয়মিত জল দেওয়া, পর্যাপ্ত আলো-হাওয়া, ভালো মাটি ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা। জলের পরিমাণ একটু কম বা বেশি হলে পোকামাকড়ের আক্রমণ ও রোগ দেখা দিতে পারে। ছায়াযুক্ত জায়গা না হলে এই গাছ ভালো বাড়ে না। ছোট ঘর বা অনিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের ঝুঁকি থাকলে, গাছ কেনার সময় এই ফিড্ল লিভ ফিগ গাছটি এড়িয়ে যাওয়ায় ভালো।