অন্যান্য ভিটামিনের মতো শুধুমাত্র খাবারই ভিটামিন ডি এর উৎস নয়। সূর্যের আলো থেকেও এটি পাওয়া যায়। তাই ভিটামিন ডি এর ঘাটতি আছে যাদের, তাদের সকালের রোদে বসা ভালো।
শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি উপাদান হলো ভিটামিন ডি। হাড় এবং দাঁতের বৃদ্ধির জন্য সাহায্যকারী ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরে শোষণ করতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। একইভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্যও ভিটামিন ডি প্রয়োজন। অন্যান্য ভিটামিনের মতো শুধুমাত্র খাবারই ভিটামিন ডি এর উৎস নয়। সূর্যের আলো থেকেও এটি পাওয়া যায়। তাই ভিটামিন ডি এর ঘাটতি আছে যাদের, তাদের সকালের রোদে বসা ভালো। আমাদের জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং ভালো খাদ্যাভ্যাস ভিটামিন ডি পেতে সাহায্য করবে।
এমন একটি ভিটামিন ডি এর ভালো উৎস হলো ডিম। বিশেষ করে ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। তাই ভিটামিন ডি এর ঘাটতি আছে যাদের, তারা ডিম ডায়েটে রাখতে পারেন। এছাড়াও ভিটামিন বি১২ এর একটি ভালো উৎস হলো ডিম। এটি লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে খুবই উপকারী। ডিমের কুসুমে ভিটামিন এ ও থাকে। এটি চোখের স্বাস্থ্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
ডিমের কুসুমে ভিটামিন ই ও থাকে। এটি ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া ত্বককে তরুণ রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক সহ ডিমে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলি কোলাজেন উৎপাদনকে সমর্থন করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। ডিমের কুসুমে থাকা ভিটামিন কে হাড় এবং হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ডিমের কুসুমে ভিটামিন বি৯ এর প্রাকৃতিক রূপ ফোলেট থাকে। এটি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান।
আয়রনের একটি ভালো উৎস হলো ডিম। তাই এটি খাওয়া রক্তাল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। কোলিনে সমৃদ্ধ ডিম মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। প্রোটিনের একটি ভালো উৎস হলো ডিম। পেশীর স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এটি সাহায্য করে। ডিমে অসম্পৃক্ত ফ্যাট থাকে, বিশেষ করে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এটি হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।