
শীতকালে পালং শাক দিয়ে মাছ ও মাংসের নানা মুখরোচক পদ খাওয়া যায়। যেমন মাছের মাথা দিয়ে পালং শাকের চচ্চড়ি, পালং চিকেন কারি, চিংড়ি দিয়ে পালং, বা পালং পনির ইত্যাদি বাঙালির পাতে আনে নতুন স্বাদ ও পুষ্টি, যা গরম ভাত বা রুটির সাথে দারুণ জমে যাবে এই শীতে। এই পদগুলিতে পালং শাকের ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের সাথে মাছ/মাংসের প্রোটিন মিশে এক স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু ডিশ তৈরি হয় যা শীতের খাদ্যতালিকাকে করে তোলে সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময়।
মাছের মাথা দিয়ে পালং শাকের চচ্চড়ি: রুই/কাতলা মাছের মাথা ভেজে তুলে নিয়ে, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও মশলা কষিয়ে পালং শাক ও আলু/বেগুন দিয়ে রান্না করতে পারেন। মাছের তেল দিয়ে রান্না করলে স্বাদ বাড়ে।
পালং শাক দিয়ে মাছের ঝোল: শোল মাছ বা ইলিশ মাছ বা অন্য যেকোনো মাছের সাথে পালং শাকের ঝোল শীতের এক ক্লাসিক পদ। যা হালকা মশলা ও টাটকা পালং দিয়ে তৈরি করে দেখতে পারেন। খেতে দারুন লাগে।
চিংড়ি দিয়ে পালং শাক: চিংড়ির সাথে পালং শাকের এই রেসিপিটি খুবই জনপ্রিয়, যা ভাপে বা হালকা ঝোল করে খাওয়া যায়, বিশেষ করে ভাতের সঙ্গে দারুণ লাগে।
পালং ফিশ কারি (Palang Fish Curry): উত্তর ভারতের মতো উপকূলীয় অঞ্চলেও পালং শাক মাছের সাথে মিশিয়ে হালকা কিন্তু সুস্বাদু কারি তৈরি করা হয়।
পালং চিকেন কারি (Palak Chicken Curry) : টেন্ডার চিকেন পিসগুলোকে পেঁয়াজ, টমেটো ও মশলার সাথে কষিয়ে, পিউরি করা পালং শাক দিয়ে রান্না করা হয়, যা একটি হার্ডী ও পুষ্টিকর ডিশ।
পালং শাক ও মাটন: মুঘলাই অনুপ্রাণিত এই পদটি মাটন কিউব এবং পালং শাকের মিশ্রণে তৈরি হয়, যা শীতের রাতে একটি বিশেষ পদ হিসেবে পরিবেশন করা যায়।
পালং পনির: পালং শাকের সবচেয়ে আইকনিক উত্তর ভারতীয় পদ, যেখানে পালং পিউরি ও পনিরের সাথে আদা, রসুন ও মশলার চমক থাকে।
পালং পাকোড়া: চালতার বা ছোলার বেসনে পালং পাতা ডুবিয়ে ভাজা হয়, যা শীতের বিকেলের স্ন্যাকস হিসেবে দারুণ।
পালং রাইস/পুলাও: পালং পিউরি ও বাসমতি চাল এবং হালকা মশলার মিশ্রণে তৈরি, যা রায়তা বা আচারের সাথে পরিবেশন করা যায়।
শীতকালে পালং শাকের এই ধরনের পদে খাবারে নতুনত্ব আনে, যা শুধুমাত্র সুস্বাদু নয়, ভিটামিন ও আয়রনে ভরপুর থাকে, শরীরকে রাখে সুস্থ ও উষ্ণ।