আমেরিকাদের একটি অন্যতম খাদ্য। মাথাপিছু প্রত্যেক আমেরিকান বছর ৪০ পাউন্ড খরচ করেন চিজের জন্য। সেই হিসেবে প্রতিদিন ১.৫ আউন্সড চিজ তারা খান। যাইহোক এই দেশের মানুষের চিজ নিয়ে এখনও কিছু সমস্যা রয়েছে।
চিজ অনেকেরই খুব প্রিয় খাবার। বিসকুট থেকে শুরু করে পাঁউরুটি- পাস্তা থেকে শুরু করে পিৎজা -সবেতেই এর ব্যবহার হয়। সুস্বাদু এই খাবার অনেকেই চান প্রতিদিন খেতে। আমেরিকাদের একটি অন্যতম খাদ্য। মাথাপিছু প্রত্যেক আমেরিকান বছর ৪০ পাউন্ড খরচ করেন চিজের জন্য। সেই হিসেবে প্রতিদিন ১.৫ আউন্সড চিজ তারা খান। যাইহোক এই দেশের মানুষের চিজ নিয়ে এখনও কিছু সমস্যা রয়েছে। কিন্তু নতুন গবেষণা রিপোর্ট বলছে এটি অত্যান্ত উপকারী খাবার। দার্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ায় না।
চিজ খাওয়ার উপকারিতা
পনির ওজন বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকিও কমায় বলে মনে হয়। পনির ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এমন একটি কারণ হল এটি অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্যের তুলনায় ক্ষুধা কমাতে পারে।
হৃদরোগের সমস্যা কমায়
ইউরোপীয় জার্নাল অব নিউট্রিশনে প্রকাশিত ১৫টি গবেষণায় বলা হয়েছে এটি কার্ডিওভাসকুলার রোগের প্রভাব কমায়। যারা প্রতিদিন ১.৫ আউন্স চিজ খাওয়া যেতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে স্বল্পপরিমাণ চিজ হার্টের সমস্যাকে প্রভাবিত করতে পারে না।
ডায়াবেটিশ ও প্রেসার
২১টি দেশের প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের ওপর সমীক্ষা করে দেখা গেছে, চিজ খেলে ডাইবেটিশের ঝুঁকি বাড়ে না। ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। নয় বছরের গবেষণার শুরুতে যাদের ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ ছিল না, তাদের মধ্যে যারা প্রতিদিন দুগ্ধজাত খাবার খেয়েছিলেন তাদের গবেষণার সময় রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কম ছিল।
ল্যাকটোজের সমস্যা
দুধে চিনি খেলে অনেকেরই সমস্যা হয়। ডায়েরিয়া পর্যন্ত হতে পারে। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগের দিয়ে ঠেলে দিতে পারে। তবে আমেরিকান চিজ সোসাইটির প্রধান জেমি পিএনজে বলেছেন, চিজে যে ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার হয় তার বেশিরভাগই ল্যাকটোজ হজম করতে পারে। যে ল্যাকটোজ অবশিষ্ট থাকে তার বেশিরভাগই চিজ তৈরির পর তা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাই সমস্যা অনেক কম হয়।
তবে চিজ কতটা পরিমাণে খাবেন তা প্রথম থেকেই স্থির করে নেওযা জরুরি। বেশিরভাগ গবেষণায় একটি নিরপেক্ষ বা উপকারী প্রভাবের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাসাপাশি দৈনিক ১.৫ আউন্স চিজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।