বর্ষায় কম খরচে বেড়িয়ে আসুন লাল কাঁকড়ার দেশ থেকে

  • বর্ষা মানেই প্যাচপ্য়াচে কাদা।
  • তাই উইকেন্ডে ছুটি কাটানোর প্ল্যান করেও তা বাতিল করতে হয়। 
  •  কিন্তু জানেন কি বর্ষার সময়ে বেড়ানোর আদর্শ জায়গা হল তাজপুর।
  • বর্ষা থাকতে থাকতেই তাই ঘুরে আসুন তাজপুর থেকে। 
     

swaralipi dasgupta | Published : Jun 7, 2019 2:25 PM IST

বর্ষা মানেই প্যাচপ্য়াচে কাদা। তাই উইকেন্ডে ছুটি কাটানোর প্ল্যান করেও তা বাতিল করতে হয়। পাহাড়ে এই সময়ে বেড়াতে যাওয়া বেশ বিপজ্জনক। অনেক সময়ে অধিকাংশ রাস্তাই সেখানে বন্ধ থাকে। কিন্তু জানেন কি বর্ষার সময়ে বেড়ানোর আদর্শ জায়গা হল তাজপুর। বর্ষা থাকতে থাকতেই তাই ঘুরে আসুন তাজপুর থেকে। 

দিঘা-মন্দারমণিতে এখন উইকেন্ডে বেড়াতের যাওয়া মানেই  ভিড়ের সম্মুখীন হওয়া। সে জায়গায় ঘুরে আসতে পারেন তাজপুর থেকে। সমুদ্র স্নান থেকে সমুদ্রের ধারে বসে কাঁকড়ার স্বাদ নেওয়ার জন্য আদর্শ তাজপুরের নিরিবিলি পরিবেশ। 

তবে তাজপুরের আরও একটি আকর্ষণ হল লাল কাঁকড়া। যখন সূর্যের আলো সৈকতের বালির উপরে এসে পড়ে, দূর থেকে দেখে মনে হয়, যেন হলুদ চাদরের উপর বিছানো রয়েছে লাল ফুল। এভাবেই মাছা উঁচু করে বসে থাকে লাল কাঁকড়ার দল। কাছে যেতেই তারা আবার বালির ভিতর ঢুকে পড়ে। 

ওল্ড দিঘা ও উদয়পুরেও এক সময়ে লাল কাঁকড়া দেখা যেত। কিন্তু দিনে দিনে তা কমে আসছে। তাই লাল কাঁকড়া দেখতে তাজপুর যান। তাজপুরের নির্জনতা হোটেল ও রিসর্টগুলি এখনও ব্যাহত করতে পারেনি। তাজপুর বিচ ও হোটেল চত্বরের মাঝেই রয়েছে ঝাউবন। এছাড়া বিচে রয়েছে সার বাঁধানো অনেক দোকান। কাঁকড়ার নানা রকম পদ চেখে দেখতে অবশ্যই এইগুলিতে ঢুঁ মারুন। 

তাজপুর নিরিবিলি হলেও, এখানে বিশৃঙ্খলার তেমন কোনও সুযোগ নেই। এখানকার বিচ গার্ডরা খুবই তৎপর। তাই বর্ষায় কোথায় যাবেন না ভেবে বেড়িয়ে আসুন তাজপুর থেকে। 

কলকাতা থেকে তাজপুরের দূরত্ব ১৭২ কিলোমিটার। ট্রেনে যদি যান তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস ধরে রামনগর স্টেশনে নামুন। সেখান থেকে টোটো বা অটো করে যান। আর যদি গাড়িতে যেতে চান। কোলাঘাট হয়ে নন্দকুমার, কাঁথি পেরিয়ে যান। 

তাজপুরে বেশ কিছু হোটেল রিসর্ট হয়েছে। আগে থেকে অনলাইন বুকিং করে যেতে পারেন। 
 

Share this article
click me!