বাঙালির বাড়িতে পিঠে পায়েস বা পাটিসাপটা যাই রান্না করা হোক তা তৈরি হয় নলেন গুড় দিয়ে।
মকর সংক্রান্তি মানেই বাঙালির কাছে পিঠেপুলি থেকে পায়েস আর পাটিসাপটার উৎসব। মকর সংক্রান্তির আগে থেকেই বাঙালির ঘরে ঘরে নানা ধরনের পিঠে পায়েস তৈরি হয়। অনেকে এবার এই সময়টা ভাত বা রুটে খাওয়া প্রায় বন্ধ করেই দেয়। পিঠে পায়েসের ওপর নির্ভর করেই দিন কাটায়। সদ্যো রান্না করা পিঠে বা পায়েস যেমন অত্যান্ত সুস্বাদু তেমনই বাসি পিঠেও কিন্তু লাজবাব। তবে বর্তমান স্বাস্থ্য সচেতন বাঙালির কাছে প্রশ্ন পিঠে-পায়েস স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী।
বিশেষজ্ঞদের কথায় এই সময় বাঙালির বাড়িতে পিঠে পায়েস বা পাটিসাপটা যাই রান্না করা হোক তা তৈরি হয় নলেন গুড় দিয়ে। নলেন গুড় কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য অত্যান্ত উপকারী। নলেন গুড় অর্থাৎ খেজুরের গুড় - এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ম্যাগনেসিয়া রয়েছে। নলেনগুড়ে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা শরীরকে ডিটক্সিফায়েড করে। নলেনগুড়ে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট। এটি এনার্জি দেয়।
অন্যদিকে পিঠেপুলি বা পায়েস এগুলি মূলত তৈরি হয় চাল দিয়ে। চাল কিন্তু স্বাস্থ্যকর। এতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইডেট্রেড থাকে। যা অনেকক্ষণের জন্য পেট ভরা রাখতে পারে। তাই অল্প পায়েস খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। যারা ডায়েটে অভ্যস্ত তারা এই দিনগুলি ভাতের বদলে পিঠে পায়েস খেতেই পারেন। তবে পরিমিত। তবে সেই সময়টা অন্য কিছু না খাওয়াই শ্রেয়।
পিঠেপুলি বা পায়েস - এগুলিতে দুধ, এলাচি, বাদাম ব্যবহার করা হয়। এগুলি সবই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। যেমন দুধ হাড় শক্তিশালী করে। দুধে প্রোটিনও রয়েছে। এলাচি যৌন স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। বাদাম আবার হার্টের জন্য উপকারী। তাই পিঠেপুলি বা পায়েস কখনই স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে না।
অন্যদিকে পায়েস বা পিঠেপুলি বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এতে দেহের তাপও নিয়ন্ত্রিত হয়। এগুলি পুষ্ঠির অফুরন্ত ভাণ্ডার। পায়েস শরীর চাঙ্গা করে। এগুলিতে জিঙ্ক, কমার, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, সেলেনিয়ামের মত খনিজ পদার্থ রয়েছে। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।