প্রতিদিনের তাড়াহুড়ো থেকে সৃষ্ট বার্নআউট থেকে মুক্তি পেতে, সেই সঙ্গে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য তাদের ব্যস্ত সময়সূচী থেকে ক্ষণিকের জন্য মুক্ত হওয়া উচিত।
একটি সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখার জন্য একটি শান্ত মনও প্রয়োজন। আধুনিক প্রজন্মের দ্রুত গতির প্রকৃতির জন্য অস্থিরতা, উদ্বেগ এবং চাপ আজকাল সাধারণ। কাজের চাপ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত দায়িত্ব, বেশ কিছু বিষয় মানসিক স্থিতিশীলতার উপর প্রভাব ফেলে। এই ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য উচিত এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। দীর্ঘদিনের অজ্ঞতা তাদের স্নায়ুতন্ত্রের উপর স্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে, যার ফলে বিষণ্নতার অনুভূতি হয়। প্রতিদিনের তাড়াহুড়ো থেকে সৃষ্ট বার্নআউট থেকে মুক্তি পেতে, সেই সঙ্গে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য তাদের ব্যস্ত সময়সূচী থেকে ক্ষণিকের জন্য মুক্ত হওয়া উচিত।
১) মিউজিক-
পছন্দের যে কোনও মিউজিক মানেই অবশ্যই মন ভালো করে। তাই প্রতিদিন আপনার প্রিয় সুর শোনার অভ্যাস স্নায়ুকে শিথিল করতে পারে। শান্ত গানের সঙ্গে একটি প্লেলিস্ট প্রস্তুত করুন এবং একটি ঝামেলা-মুক্ত বিশ্বে ডুব দিতে ইয়ারফোনগুলি রাখুন৷
২) ধ্যান-
দীর্ঘ, ব্যস্ত দিনের পর, লোকেরা ধ্যান অনুশীলনে কিছুটা সময় ব্যয় করে শান্তি পেতে পারে। এটির জন্য কোনও শারীরিক পরিশ্রমের প্রয়োজন নেই কারণ শুধুমাত্র চোখ বন্ধ করে বসে থাকলে তা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করবে।
৩) কম স্ক্রীন টাইম:
আপনার টেলিভিশন, ল্যাপটপ বা মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিশেষ করে রাতে তাকানো আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে। এই ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলি থেকে নির্গত নীল আলো আপনার ঘুমের সময়সূচীকে প্রভাবিত করার পাশাপাশি আপনার চোখের ক্ষতি করতে পারে।
আরও পড়ুন- দুধে হিং মিশিয়ে খেলে ৫ ধরনের সমস্যা দূর হয়, জেনে নিন এর দারুণ উপকারিতা
৪) ব্যায়াম:
মানসিক চাপ দূর করার জন্য ব্যায়াম একটি সুপরিচিত পদ্ধতি। দৈনিক মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যায়াম হতাশা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে। আপনার যদি সময় কম থাকে তবে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে তিন থেকে পাঁচ বার লক্ষ্য রাখুন।
৫) সামাজিক মেলামেশা:
সামাজিক বন্ধন উদ্বেগ সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধ করার জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে। আপনার বন্ধুদের এবং পরিবারের সঙ্গে মান-সম্পন্ন সময় কাটান এবং সেই ব্যক্তিদের সঙ্গে আপনার অনুভূতি শেয়ার করুন।