
শুধু কানে ব্যথা বা শ্রবণশক্তি হ্রাসই নয়—অতিরিক্ত জোরে শব্দ একেবারে মৃত্যুর কারণও হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সহ একাধিক স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, উচ্চমাত্রার শব্দ শুধু শ্রবণশক্তিই নষ্ট করে না, শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গেও মারাত্মক প্রভাব ফেলে, আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলতে পারে হার্ট অ্যাটাকের।
হিয়ারিং হেলথ ফাউন্ডেশনের মতে - * ৭০ ডেসিবেল বা কম শব্দ মানুষের জন্য নিরাপদ * শব্দ ৮৫ ডেসিবেল ছাড়ালে শ্রবণশক্তি ক্ষয় হতে শুরু করে * ১০০-১২০ ডেসিবেল শব্দ দীর্ঘসময়ে বধিরতা আনতে পারে, মাথাব্যথা হতে পারে * ১৮৫-২০০ ডেসিবেল শব্দ হার্ট অ্যাটাক, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, এমনকি তাৎক্ষণিক মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে অপনার জন্য
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মিউজিক ডিভাইস ইয়ারফোন, ইয়ারবাডের ভলিউম ৭৫-৮০ ডেসিবেলে এবং ফুল ভলিউম ১০০ থেকে ১১০ ডেসিবেলে অনেক সময় পৌঁছে যায়। আবার দৈনন্দিন জীবনে DJ পার্টি, বিয়ে বা রাস্তার অনুষ্ঠানে শব্দের মাত্রা অনেক সময় ১০০–১২০ ডেসিবেল ছুঁয়ে ফেলে, যা দীর্ঘ সময় ধরে শুনলে শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ১৮৫–২০০ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দ কোনো বিস্ফোরণ বা বিশেষ সামরিক অস্ত্রের শব্দে শোনা যায়।
উচ্চ শব্দে শরীরের ক্ষতি কী কী হতে পারে?
* মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও মাথাব্যথা
* হার্ট রেট বেড়ে হার্ট অ্যাটাক
* শ্রবণশক্তি হ্রাস বা স্থায়ী বধিরতা
* ঘুমের সমস্যা, মানসিক চাপ
* মনোযোগের অভাব, রাগের সমস্যা
* স্মৃতিভ্রংশ বা ভুলে যাওয়ার প্রবণতা
* বিশেষত শিশু, বৃদ্ধ, উচ্চরক্তচাপ ও হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরও বেশি।
রইলো চিকিৎসকদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
* উচ্চ শব্দে দীর্ঘক্ষণ না থাকা
* ইয়ারফোন বা হেডফোনে ৬০% এর বেশি ভলিউম ব্যবহার না করা
* DJ বা বড় সাউন্ড সিস্টেম থেকে দূরে থাকা
* শব্দজনিত অসুস্থতা অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া