
আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধ করতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন জরুরি। যার মধ্যে রয়েছে নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। সুস্থ ওজন বজায় রাখা এবং ধূমপান পরিহার করাও আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। যাদের পরিবারে আর্থ্রাইটিসের ইতিহাস আছে, বয়স্ক ব্যক্তিরা এবং নির্দিষ্ট কিছু পেশার মানুষ বা যারা কোনো আঘাতের শিকার হয়েছেন, তাদের আর্থ্রাইটিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
আর্থ্রাইটিস হওয়ার অনেক কারণ আছে, যার বেশিরভাগই আমাদের জীবনযাত্রার সঙ্গে জড়িত। তাহলে প্রশ্ন হল- আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কেন বাড়ে? এর লক্ষণ কী কী? কোন বয়সে এটি বেশি সমস্যা সৃষ্টি করে? আর হাড়কে কীভাবে সুস্থ রাখা যায়? দিল্লির এলএনজেপি হাসপাতালের পেইন কনসালটেন্ট ডা. ভুবনা আহুজা বিস্তারিত জানাচ্ছেন।
* অস্টিওপোরোসিস: এতে হাড় দুর্বল ও ফাঁপা হয়ে যায়।
* আর্থ্রাইটিস: জয়েন্টে ব্যথা ও ফোলাভাব হয়।
* ফ্র্যাকচার: আঘাত লাগলে হাড় ভেঙে যায়।
* ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি: হাড় নরম হয়ে ব্যথা হয়।
এছাড়া আর্থ্রাইটিসে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে জয়েন্টে ব্যথা এবং প্রদাহ হয়।
১)স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন: অতিরিক্ত ওজন আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। ওজন কমালে জয়েন্টের উপর চাপ কমে এবং ব্যথা উপশম হয়।
২)নিয়মিত ব্যায়াম করুন: ব্যায়াম জয়েন্টগুলোর চারপাশের পেশী শক্তিশালী করে এবং জয়েন্টকে স্থিতিশীল রাখে।
৩)স্বাস্থ্যকর খাবার খান: প্রদাহ-বিরোধী খাবার, যেমন মাছ (স্যামন, ম্যাকেরেল, সার্ডিন), বেরি, হলুদ, সবুজ শাকসবজি, বাদাম, এবং অলিভ অয়েল খান।
৪)ধূমপান পরিহার করুন: তামাকজাত দ্রব্য এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৫)পর্যাপ্ত জল পান করুন: শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা জয়েন্টের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
১) পরিবারের ইতিহাস: যাদের পরিবারের সদস্যদের আর্থ্রাইটিস আছে, তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
২)বয়স ওপর প্রভাব: বয়স্কদের মধ্যে আর্থ্রাইটিস বেশি দেখা যায়, যদিও এটি সকল বয়সের মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে।
৩) লিঙ্গ: কিছু ধরণের আর্থ্রাইটিস, যেমন প্রতিক্রিয়াশীল আর্থ্রাইটিস, পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের মধ্যেই হতে পারে।
৪)শারীরিক আঘাত: কোনো জয়েন্টে আঘাত পেলে তা থেকে পরবর্তীতে আর্থ্রাইটিস হতে পারে।
৫)বিপাকীয় অবস্থা: কিছু বিপাকীয় সিন্ড্রোম যেমন আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।