
আজ ১ আগস্ট। বিশ্ব ফুসফুস ক্যান্সার দিবস। এই বছরের বিশ্ব ফুসফুস ক্যান্সার দিবসের প্রতিপাদ্য "একসঙ্গে শক্তিশালী হোন: ফুসফুস ক্যান্সার সচেতনতার জন্য একত্রিত হোন"। বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে ফুসফুস ক্যান্সার শীর্ষে। কেন এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধে তা নিয়ে প্রশ্ন সকলের মনে। বিশেষজ্ঞের মতে, ফুসফুস ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ ধূমপান। তবে জানেন কি, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ৮৫% কারণ ধূমপান। ধূমপান ফুসফুস ক্যান্সারের প্রধান কারণ, ধূমপানের সাথে সম্পর্কিত অনেক কারণ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। বর্তমানে প্রায় ২০ শতাংশ ফুসফুস ক্যান্সার ধূমপায়ী নন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়। ধূমপান ছাড়াও ফুসফুস ক্যান্সারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলি নীচে আলোচনা করা হল।
এক
শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে রেডন গ্যাস গ্রহণ করলে তা তেজস্ক্রিয় কণায় ভেঙে যায় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফুসফুসের টিস্যুগুলির ক্ষতি করে ক্যান্সারের দিকে নিয়ে যায়। ফোর্টিস গুড়গাঁওয়ের মেডিকেল অনকোলজির সিনিয়র ডিরেক্টর ডাঃ অঙ্কুর বাহাল বলেন, ধূমপানের পর এটি ফুসফুস ক্যান্সারের দ্বিতীয় প্রধান কারণ।
দুই
অ্যাসবেস্টসের সংস্পর্শে আসলে তা ফুসফুসে জমা হয় এবং প্রদাহ এবং মারাত্মক টিউমার সৃষ্টি করে। নির্মাণ শ্রমিক এবং শিপইয়ার্ড শ্রমিকদের মধ্যে ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি।
তিন
ধূমপায়ী নন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ফুসফুস ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ পরিবেশ দূষণ। বাইরের দূষণ ছাড়াও ঘরের ভিতরের বায়ু দূষণও ফুসফুস ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
চার
প্যাসিভ ধূমপান আরেকটি কারণ। ধূমপায়ী না হলেও, বিশেষ করে যারা সেকেন্ড হ্যান্ড ধোঁয়ার সংস্পর্শে আসেন তাদের ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি।
পাঁচ
বংশগত মিউটেশন বা বংশগতি ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
ছয়
কিছু ফুসফুসের রোগ দীর্ঘস্থায়ী টিস্যু ক্ষতির কারণে ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে পালমোনারি ফাইব্রোসিস, যক্ষ্মা, এবং সারকোইডোসিস।
সাত
আমাদের বাড়ি নির্মাণে বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। দেয়াল এবং আসবাবপত্রে ব্যবহৃত কিছু রঙ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত নয়। কিছু রঙে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ থাকে। এর বেশিরভাগই ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক। তাই সময় থাকতে সতর্ক হন। ধূমপান করে না মানে এই নয় যে আপনার কখনও ক্যান্সার হবে না। এই রোগ থেকে বাঁচতে হলে এই কয়টি বিষয় সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। তা না হলে হতে পারে বিপদ।