কাজের প্রবল চাপ, সেই সঙ্গে রয়েছে প্রবল অনিয়ম। আজেবাজে খেয়ে ফেলা, সময়ে না ঘুমোনো । এই করে প্রতিদিন ক্ষয়ে যাচ্ছে শরীর, শরীরে জমছে বিষ(টক্সিন) অথচ এই গরমেই শরীরকে ঝরঝরে করে নেওয়া যায়। শরীর ঝরঝরে রাখতে, ডিহাইড্রেশান রুখতে এই সময় সহায় হতে পারে বেশ কিছু নতুন ধরনের শরবৎ। বলা যায় এক ঢিলে দুই পাখি। ভাল পানীয় পানও হল, শরীরও পেল যাবতীয় পুষ্টি। রইল এমনই কিছু শরবতের সন্ধান।
কিউকাম্বার-মিন্ট ডিটক্স ওয়াটার— একটি অর্ধেক ফালি করে কাটা শসা, দু’টি লেবু এবং ১০-১২টি পুদিনা পাতা ৩ লিটার জলে মিশিয়ে সারারাত ফ্রিজে রেখে দিন। সকালে উঠে পান করুন ৩-৪ সপ্তাহ পর্যন্ত।
ওয়াটারমেলন-ডিটক্স ওয়াটার— তরমুজের কিছু ফালা ফালা টুকরো, পুদিনা পাতার সঙ্গে মিশিয়ে জলভর্তি একটি জারে সারারাত ডুবিয়ে রাখুন। এই পানীয় ২-৩ সপ্তাহ পর্যন্ত পান করলে কিডনি ও বহুমূত্র রোগের সমস্যা কমে।
জিঞ্জার-মিন্ট ডিটক্স— পরিমাণ মতো আদা কুচি করে একটি গেলাসে পুদিনা পাতা ও লেবুর রসের সঙ্গে ভিজিয়ে রাখুন ঘণ্টাখানেক। এর পর কয়েক টুকরো বরফ দিয়ে পান করুন।
আপেল-সিনামন ডিটক্স— আপেলে আয়রন থাকে এবং দারচিনি বিপাক ক্রিয়ায় সহায়তা করে। এক গেলাস ঈষৎ উষ্ণ জলে দারচিনি এবং আপেলের টুকরো ১৫ মিনিট মতো ভিজিয়ে রাখুন। সারারাত ফ্রিজে রেখে পরের দিন সকালে পান করুন।
ডিটক্স গ্রিন টি— ফ্রিজে ৫ মিনিট মতো গ্রিণ টি রেখে ঠাণ্ডা করুন, তারপর পরিমাণ মতো শসা, লেবু, স্ট্রবেরি এবং অল্প একটু মধু মিশিয়ে পান করুন। এই পানীয় ওজন কমানোর জন্য ভাল।
অ্যালোভেরা ড্রিঙ্ক— একটি অ্যালোভেরা পাতা নিয়ে ভেতর থেকে পাতার রসালো অংশটি বের করে এক গেলাস জল ও কিছুটা লেবুর রসে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। ত্বকের সমস্যা, হজমের সমস্যা, হৃদরোগের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।