দাঁড়িয়ে থাকা, হাঁটা,দৌড়নো, সবকিছু সামাল দেয় আমাদের পা। দৈনন্দিন জীবনযাপনে, যাঁদের পায়ে প্রচুর চাপ পড়ে, যেমন শেফ, ট্রাফিক পুলিশ, ইভেন্ট ম্য়ানেজার, ডাক্তার, নার্স, তাঁরাই ভেরিকোজ ভেন ও পেরিফেরাল আর্টারিয়াল ডিজিজে আক্রান্ত হতে পারেন।
ভেরিকোজ ভেনের উপসর্গ বলতে, পায়ে ব্য়থা বা অস্বস্তি ও ভারিভাব, গোড়ালি ফুলে যাওয়া, ত্বকে বাদামি দাগ হওয়া। এগুলো হল প্রাথমিক উপসর্গ। বিশ্রামের সময়ে পা উঁচুতে রাখা দরকার এবং বসে থাকার সময়ে পা-দুটিকে কোনাকুনি করে না-রাখাই উচিত। নিয়মিত ব্য়ায়াম করা উচিত। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে না-থেকে মাঝেমধ্য়ে বসা উচিত। পুষ্টিকর খাবার তো খাওয়া উচিতই। সেইসঙ্গে উঁচু হিলের জুতো না-পরা উচিত। সাধারণত ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মহিলা এর স্বীকার হন।
অ্য়াথেরোসক্লেরোসিসের কারণে, আর্টারিতে ফ্য়াট জমে, রক্তপ্রবাহে বাধার সৃষ্টি হয়। ফলে পায়ে চাহিদা মতো রক্ত সরাবরাহ হয় না। তাই পায়ে ব্য়থা করে। হাঁটা বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠার মতো কাজকর্মে উরু বা কাফ মাসেলে যন্ত্রণাদায়ক ক্র্য়াম্প হয়। এই সমস্য়াই হল পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ। এই রোগের অন্য় লক্ষণ হল, শরীরের অন্য় অংশের তুলনায়, পায়ের নীচে বা পায়ের পাতায় ঠান্ডাভাব, পায়ের আঙুল, পাতা বা পায়ের এমন ক্ষত যা সারতে সময় লাগে। ডায়াবেটিস, হাইব্লাড কোলেস্টেরল, অ্য়ানুইরিজম, হার্ট অ্য়াটাক বা স্ট্রোক, ওবেসিটি, ভাসকুলার ডিজিজের পারিবারিক ইতিহাস এই রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
এর থেকে মুক্তি পেতে, স্বাস্থ্য়কর লাইফস্টাইলের সঙ্গে নিয়মিত পরিশ্রম করা দরকার। কোলেস্টেরল আর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকা দরকার। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও দরকার। প্রয়োজনে, সার্জারিতে যেতে হতে পারে। তবে সার্জারির তখনই প্রয়োজন, যখন উপসর্গ খুব তীব্র হয়, হাঁটা বা দাঁড়িয়ে থাকার মতো সাধারণ কাজকর্মও আর করা সম্ভব হয় না।