প্রতিদিনের সুষম খাদ্য তালিকায় দুধের কোনও বিকল্প নেই। রোগী থেকে শুরু করে শিশুর বিকাশের জন্য অন্যতম উপাদান হল দুধ। ডায়েটে দুধের গুরুত্ব অপরিসীম। এর মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম। প্রথমত দুধের মধ্য়ে ক্যালশিয়াম থাকে, যা দাঁত ও হাড়কে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরের টিশ্যুকে সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে। এক কাপ দুধে ১৫০ ক্যালরি থাকে কারণ এতে ল্যাকটোজ থাকে। বাজারে যে ফ্লেভারড মিল্ক কিনতে পাওয়া যায়, তাতে ক্যালরির পরিমাণ আরও বেশি থাকে কারণ এতে অ্যাডেড সুগার থাকে।
দুধে প্রোটিন প্রচুর পরিমাণে থাকার কারণে ওজন কমানোর জন্যও ডায়েটে দুধ রাখতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন ডি থাকে যার ফলে হাড় শক্ত থাকে। কিন্তু ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়াম শরীরে ক্যালরি বার্ন করতেও সাহায্য। তাই ওজন কমানোর সময়ে খেতেই পারেন এক কাপ করে দুধ। তাই জেনে নিন কিভাবে বুঝবেন ভেজাল বা খাঁটি দুধ।
দুধে অনেক সময় মেশানো হয় কার্বোহাইড্রেট। ছোট্ট একটি পাত্রে সামান্য লবন মিশিয়ে দিন। যদি তাতে দুধের রং-এর পরিবর্তন হয় তবে বুঝতে হবে দুধটি খাঁটি নয়।
দুধ ভেজাল হলে হাতে সামান্য দুধ নিয়ে ক্রীমের মতন ঘষলে সাবানের মত অনুভূতি হবে।
খাঁটি দুধ মেঝেতে ঢেলে দিন, কিছুক্ষণ পর যদি তাতে সাদা দাগ পড়ে, তাহলে বুঝবেন তাতে ভেজাল মিশানো আছে।
দুধে ফর্মালিন দেওয়া আছে কি না তা বুঝতে, দুধের মধ্যে কিছুটা সালফিউরিক অ্যাসিড ঢেলে দিন, যদি রং এর পরিবর্তন হয় তাহলে বুঝবেন দুধে ফর্মালিন দেওয়া আছে।
দুধের ঘনত্ব দেখে বুঝতে পারবেন দুধ খাঁটি না ভেজাল। তা দেখার জন্য দুধে কয়েক ফোঁটা টিংচার আয়োডিন মিশিয়ে দিন। যদি দুধের রং হালকা নীলবর্ণ ধারণ করে, তবে বুঝবেন দুধের ঘনত্ব বৃদ্ধির জন্য তাতে কিছু মেশানো হয়েছে।