
শীতে ঘর গরম রাখার উপায়: শীতকাল এলেই ঘরের তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। এই মরশুমে আলস্য যেন চরমে পৌঁছায়। মাঝে মাঝে মনটাও খারাপ লাগে। কিন্তু কিছু সহজ ঘরোয়া উপায়ে আমরা হিটার ছাড়াই ঘর গরম রাখতে পারি, আর পজিটিভ এনার্জিও বজায় থাকবে।
সকালের দিকে জানালা এবং পর্দা খুলে দিন যাতে ঘরে প্রাকৃতিক রোদ আসতে পারে। সূর্যের রশ্মি ঘরকে গরম রাখার পাশাপাশি ভিটামিন ডি এবং পজিটিভ ভাইবসও নিয়ে আসে। সূর্যের আলো ঘরে পজিটিভ এনার্জিও নিয়ে আসে।
বাইরের ঠান্ডা বাতাস দরজার নিচ বা পাশ দিয়ে ঘরে ঢুকতে পারে। এক্ষেত্রে একটি ড্রাফট স্টপার লাগান। এটি বাজারে খুব সহজেই পাওয়া যায়। এতে ঠান্ডা বাতাস ঘরে ঢুকবে না এবং ঘর গরম থাকবে।
শীতকালে মোটা পর্দা, কার্পেট এবং রাগস ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এগুলি মেঝে এবং দেয়াল থেকে আসা ঠান্ডা আটকায়, যার ফলে ঘর স্বাভাবিকভাবেই গরম থাকে।
যদি জানালা পুরোনো হয় বা তার ফাঁক দিয়ে ঠান্ডা বাতাস আসে, তাহলে একটি স্বচ্ছ প্লাস্টিক ফিল্ম বা বাবল র্যাপ ব্যবহার করুন। জানালার ফ্রেমের চারপাশে ফিল্মটি আটকে দিন অথবা বাবল র্যাপে হালকা জল ছিটিয়ে জানালায় লাগিয়ে দিন। এটি ঠান্ডা বাতাসকে ভেতরে আসতে বাধা দেবে।
ল্যাভেন্ডার, দারুচিনি, ভ্যানিলা বা চন্দনের গন্ধযুক্ত মোমবাতি জ্বালালে ঘরে উষ্ণতার পাশাপাশি পজিটিভ এনার্জি ছড়িয়ে পড়ে। এটি শীতকালে মন-মেজাজও ভালো রাখে।
শীতকালে রান্নাঘরের উষ্ণতা পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। স্যুপ, হার্বাল চা বা দেশি খাবার তৈরির সময় যে বাষ্প এবং সুগন্ধ বের হয়, তা ঘরের পরিবেশকে গরম এবং আরামদায়ক করে তোলে। এছাড়া, আপনি যদি বেকিং করেন, তাহলে ওভেন বন্ধ করার পর তার দরজাটা সামান্য খুলে রাখুন, যাতে গরম বাতাস ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এই পদ্ধতিটি দ্রুত ঘর গরম করে।
সকালের দিকে হালকা সঙ্গীত, ভজন বা মন্ত্র শুনলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায় এবং ঘরে পজিটিভ এনার্জির সঞ্চার হয়। এতে ঘরের পরিবেশ সঙ্গে সঙ্গে আনন্দময় হয়ে ওঠে।
শীতকালে কিছু ইনডোর প্ল্যান্ট যেমন অ্যালোভেরা, মানি প্ল্যান্ট বা স্নেক প্ল্যান্ট ঘরের বাতাসকে শুদ্ধ রাখে। সবুজ সতেজতা এবং পজিটিভিটি বজায় রাখে।