
এঁটো বাসন পরিষ্কার করার জায়গায় যদি অপরিষ্কার থাকে, তা হলে সে হেঁশেলের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে প্রশ্ন উঠতে পারে। রান্নাঘরের সিঙ্কেই সবচেয়ে দ্রুত ময়লা জমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু পরিষ্কার না করলে বাসনে জীবাণু জমে যেতে পারে। কেবল সাবান দিয়ে সিঙ্ক পরিষ্কার করলে কখনওই সম্পূর্ণ দাগ তোলা সম্ভব নয়।
আপনার সিঙ্কের দাগ যদি তোলা না যায় তাহলে করতে পারেন কয়েকটি উপায়। দাগ তোলার জন্য ৫টি উপায় নিচে দেওয়া হলো:
ভিনিগার ও বেকিং সোডা দিয়ে সিঙ্কে ১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর নরম ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। এছাড়া লেবুর রস ও লবণ লেবুর রসের সাথে লবণ মিশিয়ে দাগের উপর লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন, তারপর ধুয়ে ফেলুন। গরম জল ও ডিশ ওয়াস সোপ দিয়েও নিয়মিত মিশিয়ে স্পঞ্জ দিয়ে ঘষুন। জেদি দাগের জন্য অল্প ব্লিচ ও জল মিশিয়ে স্প্রে করে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। তবে ব্লিচ ব্যবহারের আগে হাত ও চোখ রক্ষা করে নিন। ব্রাশ ও ডিশ সোপ শক্ত ও পুরনো দাগের জন্য একটি পুরনো টুথব্রাশ বা ছোট ব্রাশ ব্যবহার করে ডিশ সোপের সাহায্যে ঘষে পরিষ্কার করুন।
এখানে ৫টি উপায় বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. ভিনিগার ও বেকিং সোডা:
* পদ্ধতি: সিঙ্কের উপর বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিন এবং এর উপর ভিনিগার ছিটিয়ে দিন। মিশ্রণটি ফেনা তৈরি করবে। প্রায় ১৫ মিনিট এটি রেখে দিন।
* পরিষ্কার করা: একটি নরম ব্রাশ বা স্পঞ্জ ব্যবহার করে ভালোভাবে ঘষে পরিষ্কার করুন এবং তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতিটি খনিজ পদার্থ এবং সাবান জমে যাওয়া দাগ তুলতে খুব কার্যকর।
২. লেবুর রস ও লবণ:
* পদ্ধতি: লেবুর রস ও লবণের একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি সিঙ্কের দাগের উপর লাগিয়ে নিন।
* পরিষ্কার করা: মিশ্রণটি ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর নরম ব্রাশ বা স্পঞ্জ দিয়ে ঘষে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। লেবুর অ্যাসিডিক উপাদান এবং লবণের ঘর্ষণ শক্তি দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
৩. গরম জল ও ডিশ সোপ:
* পদ্ধতি: গরম জল এবং ডিশ সোপ (বাসন মাজার তরল সাবান) মিশিয়ে নিন। * পরিষ্কার করা: একটি স্পঞ্জ বা কাপড় এই মিশ্রণে ভিজিয়ে সিঙ্কের উপর ঘষুন। এটি নিয়মিত পরিষ্কারের জন্য একটি সহজ ও কার্যকর উপায়।
৪. ব্লিচ ও জল:
* পদ্ধতি: জেদি ও পুরনো দাগের জন্য, অল্প পরিমাণ ব্লিচ এবং জল মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ভরুন।
* সাবধানতা: এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করার সময় হাতে গ্লাভস এবং চোখে সুরক্ষামূলক চশমা ব্যবহার করুন।
* পরিষ্কার করা: মিশ্রণটি দাগের উপর স্প্রে করুন এবং কিছুক্ষণ (৫-১০ মিনিট) পর জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
৫. শক্ত ব্রাশ ও ডিশ সোপ:
* পদ্ধতি: যদি কোনো দাগ খুব জেদি হয় এবং উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে না ওঠে, তাহলে একটি পুরনো টুথব্রাশ বা ছোট, শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করুন।
* পরিষ্কার করা: ব্রাশে ডিশ সোপ লাগিয়ে দাগের উপর ঘষতে থাকুন। এই পদ্ধতিতে কঠিন দাগও সহজে উঠে যায়।