
Bath Tips: সাধারণত স্নানের জন্য খুব ঠান্ডা বা খুব গরম জল ভালো নয়। শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে মানানসই ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে সব ঋতুতেই স্নান করা যায়। তবে স্নান করার সময় শরীর থেকে ময়লা, ঘাম, জীবাণু দূর করার জন্য ভালো করে ঘষা দরকার।
একইসঙ্গে অনেকেই তেল সাবান মেখে স্নান করলেও শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশে সঠিকভাবে মনোযোগ দেন না। এতেও কাজের কাজটি হয় না। সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। অতএব, আপনাকে জানতে হবে, শরীরের কোন অংশে নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত।
শরীরের তাপমাত্রা যখন বেশি থাকে (যেমন শরীরচর্চার পর বা গরমের দিনে), তখন শরীরের রক্তনালীগুলো প্রসারিত অবস্থায় থাকে। এই সময় হঠাৎ করে ঠান্ডা জল মাথায় বা বুকে ঢাললে দুটি গুরুতর ঘটনা ঘটতে পারে:
১.) রক্তনালী সংকোচন : হঠাৎ ঠান্ডা লাগলে রক্তনালীগুলো দ্রুত সংকুচিত হয়ে যায়। এর ফলে রক্তচাপ (Blood Pressure) দ্রুত বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য এই sudden spike বা হঠাৎ বৃদ্ধি হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
২) ভেগাস নার্ভ শক : ঠান্ডা জল সরাসরি মাথায় বা বুকে পড়লে ভেগাস নার্ভ সক্রিয় হয়ে যেতে পারে। এটি হৃদস্পন্দন দ্রুত কমিয়ে দিতে পারে, যা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণ হতে পারে।
** কিভাবে স্নান করবেন এবং কোন অঙ্গে আগে জল ঢালবেন :
* সবার আগে পা : প্রথমে পায়ের পাতা এবং গোড়ালিতে জল ঢালুন। এই অঙ্গগুলিতে রক্তনালীগুলো ছোট হওয়ায়, তারা দ্রুত সংকুচিত হয় এবং মস্তিষ্কের কাছে সংকেত পাঠায় যে শরীর ঠান্ডা হচ্ছে।
* এরপর হাত ও পা : ধীরে ধীরে জল উপরে তুলে হাঁটু এবং কনুই পর্যন্ত ঢালুন। এটি মস্তিষ্ককে সংকেত দেয় যে শরীরের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে এবং হঠাৎ বড় অঙ্গে আঘাত করা থেকে রক্ষা করে।
* পেট ও বুক : পা ও হাত অভ্যস্ত হওয়ার পর পেটে এবং বুকে জল ঢালুন। হার্টের অবস্থান বুকে। হঠাৎ ঠান্ডা বুকে আঘাত করলে হার্টের ওপর সরাসরি চাপ পড়ে, যা এই ধীর প্রক্রিয়ায় এড়ানো যায়।
* সবার শেষে মাথা: শরীর সম্পূর্ণ অভ্যস্ত হওয়ার পর সবশেষে মাথায় জল ঢালুন। এটি ভেগাস নার্ভের আকস্মিক শক এড়াতে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কে রক্তের স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রাখে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।