
Chandan Melting: কপালে চন্দনের ফোঁটা দিলে ভাগ্য বদলের বিশ্বাসটি মূলত আধ্যাত্মিক ও বৈজ্ঞানিক গুণাবলীর সংমিশ্রণ। যা মনকে শান্ত রাখে, একাগ্রতা বাড়ায়, নেগেটিভ এনার্জি দূর করে এবং শুভ ফল এনে দেয় বলে মনে করা হয়। বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ কাজের আগে বা ভাইফোঁটার মতো অনুষ্ঠানে এর ব্যবহার ভাগ্যকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে বলে বিশ্বাস করা হয়।
* মানসিক শান্তি ও একাগ্রতা: চন্দন মস্তিষ্কে শীতল প্রভাব ফেলে, যা ধৈর্যশক্তি বৃদ্ধি করে এবং মনকে শান্ত ও একাগ্র রাখতে সাহায্য করে, যা জীবনে সাফল্য আনতে সহায়ক।
* শুভ শক্তির আকর্ষণ: বিশ্বাস করা হয় যে চন্দনের ফোঁটা অশুভ নজর থেকে রক্ষা করে এবং জীবনে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।
* জ্যোতিষশাস্ত্রীয় গুরুত্ব: জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, চন্দনের ব্যবহার কোষ্ঠীর অশুভ বৃহস্পতির প্রভাব কাটাতে সাহায্য করে এবং ভগবান শিবের আশীর্বাদ লাভ করা যায়।
* ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি: ভাইফোঁটার মতো অনুষ্ঠানে ভাইয়ের দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনায় চন্দন ও দইয়ের ফোঁটা দেওয়ার রীতি প্রচলিত, যা এক ধরনের রক্ষা কবচ হিসেবে কাজ করে বলে মনে করা হয়।
* আধ্যাত্মিক সংযোগ: চন্দনের প্রশান্তিদায়ক সুগন্ধ ধ্যান ও প্রার্থনার মনোযোগ বাড়ায় এবং উচ্চতর শক্তির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন সহজ করে তোলে।
* গুরুত্বপূর্ণ কাজের আগে: কোনো জরুরি কাজে বেরোনোর আগে কপালে চন্দনের ফোঁটা দিলে কাজে সাফল্য আসার সম্ভাবনা বাড়ে।
* প্রতিদিন: অশুভ শক্তি ও নজর এড়াতে প্রতিদিন চন্দনের ফোঁটা লাগানো যেতে পারে।
* পূজা-অর্চনায়: দেব-দেবীর পূজায় চন্দন অপরিহার্য এবং এটি পবিত্রতা ও শুভতার প্রতীক।
সুতরাং, কপালে চন্দনের ফোঁটা দেওয়া শুধু একটি প্রথা নয়, এটি মন ও শরীরকে শান্ত রাখা, আধ্যাত্মিক শক্তি বৃদ্ধি এবং জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার একটি উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়, যা ভাগ্যকে বদলে দিতে পারে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।