৫ হাজার বিলিয়ন টনের বেশি টক্সিন পরিবেশে নির্গত হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন যে ১২,০০০ এরও বেশি প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং হাজার হাজার প্রজাতি বিলুপ্তির পথে।
আমরা সবাই জানি উন্নয়নের নামে প্রকৃতিকে কতটা ক্ষুন্ন করা হচ্ছে। গাছ কাটা হচ্ছে, বন উজাড় হচ্ছে, নদীপথ বাঁকানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ক্রমবর্ধমান দূষণ মানুষ, পশু-পাখি ও সামুদ্রিক প্রাণীর জীবনকে হুমকির মুখে ফেলছে। আমরা মানুষ এর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। দূষণের কারণে না পৃথিবী বাসযোগ্য, জল পানের উপযোগী। সাগরের জল দূষিত হচ্ছে। এমন জিনিসের উৎপাদন বাড়ছে যা শুধু দূষণ বাড়াচ্ছে। ৫ হাজার বিলিয়ন টনের বেশি টক্সিন পরিবেশে নির্গত হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন যে ১২,০০০ এরও বেশি প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং হাজার হাজার প্রজাতি বিলুপ্তির পথে।
এমন পরিস্থিতিতে পরিবেশ বাঁচাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। একটি উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করুন এবং এতে মন অনেক প্রশান্তি আসে। প্রকৃতি যে আমাদের এত কিছু দিয়েছে তা বাঁচাতে আপনার হাত বাড়াতে হবে। আপনি আপনার পরিবার এবং ঘর থেকে এটি শুরু করতে পারেন।
প্রকৃতিকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়ান
প্রথম ধাপ হল প্লাস্টিককে না বলা। আপনার বাড়িতে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে। বিশেষ করে পলিথিন নিষিদ্ধ করুন।
বাড়িতে প্লাস্টিকের পরিবর্তে স্টিল এবং কাচের বোতল ব্যবহার করুন। বাইরে থেকে জলর বোতল কিনবেন না, সব সময় নিজের বোতল সঙ্গে রাখবেন।
সংযতভাবে কাগজ ব্যবহার করুন। টয়লেট পেপার তৈরির জন্য সারা বিশ্বে প্রতিদিন ২৭,০০০ গাছ কাটা হয়। আপনি টয়লেট পেপার ব্যবহার বন্ধ করুন।
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জল ব্যবহার করবেন না। জল সংরক্ষণ করুন, যতটা সম্ভব কম খরচ করুন বা পুনরায় ব্যবহার করুন। প্রাকৃতিক সম্পদ বৃদ্ধিতে কাজ করুন।
পুরানো জিনিসগুলি ফেলে দেবেন না, পরিবর্তে সেগুলিকে পুনর্ব্যবহার করার চেষ্টা করুন এবং আবার ব্যবহার করার জন্য রাখুন৷
আপনার বাড়ির চারপাশে প্রতি বছর কমপক্ষে ১০ টি গাছ লাগানোর সংকল্প নিন। এতে চারপাশে সবুজের সমারোহ বাড়বে এবং বাতাসে দূষণও কমবে।
যানবাহনের ব্যবহার কম করুন। যতটা সম্ভব গণপরিবহন ব্যবহার করুন। বৈদ্যুতিক যান বা সাইকেল ব্যবহার করুন।
বাজারে সবজি কিনতে গেলে প্লাস্টিকের ব্যাগ না বলুন। বাড়ি থেকে কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে যান। আপনার জীবন থেকে প্লাস্টিক যতটা সম্ভব কমিয়ে দিন।