ডায়াবিটিসে হাঁটবেন না যোগ ব্যায়াম করবেন! জেনে নিন কোন অভ্যাস বেশি উপকারী

Published : May 16, 2025, 05:02 PM IST

ডাক্তাররা বলে থাকেন, সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন যোগব্যায়াম এবং হাঁটা উভয়ই করা উচিত। কিন্তু সবাই কি দুটোই করতে পারেন? যদি দুটোর মধ্যে একটা বেছে নিতে হয়, তাহলে কোনটা ভালো? কোনটা করলে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে?

PREV
13
হাঁটার উপকারিতা:

হাঁটা পেশী সংকোচন করে এবং গ্লুকোজকে শক্তির জন্য ব্যবহার করতে সাহায্য করে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে, অর্থাৎ আপনার শরীর ইনসুলিনকে আরও দক্ষতার সাথে ব্যবহার করে। খাবার পর হাঁটা রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি কমাতে খুবই কার্যকর।

হাঁটা একটি দুর্দান্ত অ্যারোবিক ব্যায়াম। এটি ক্যালোরি পোড়াতে, হৃদপিণ্ডের পেশীকে শক্তিশালী করতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং রক্ত ​​​​প্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাঁটা ক্যালোরি পোড়ায় এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে দ্রুত হাঁটা আরও বেশি ক্যালোরি পোড়ায়।

পার্কে হাঁটা মেজাজ উন্নত করতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। হাঁটার সময় এন্ডোরফিন নিঃসৃত হয়, যা "ভালো অনুভূতি" হরমোন।

নিয়মিত হাঁটা হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে এবং পা এবং পেটের পেশীকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

মাঝারি হাঁটা হজম প্রক্রিয়া উদ্দীপিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

23
যোগব্যায়ামের উপকারিতা:

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জয়েন্টে ব্যথা এবং পেশীতে টান খুবই সাধারণ। যোগাসন শরীরে নমনীয়তা বৃদ্ধি করে, জয়েন্টগুলোকে শিথিল করে এবং ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।

যোগব্যায়ামে ধ্যান এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত, যা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মানসিক চাপ রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কিছু যোগাসন অগ্ন্যাশয়, লিভার এবং কিডনির মতো অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোকে উদ্দীপিত করে এবং তাদের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি ইনসুলিন নিঃসরণ উন্নত করতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

ধ্যান ভিত্তিক যোগব্যায়াম অনুশীলন স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসের সাথে সম্পর্কিত স্নায়বিক ক্ষতি (ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি) পরিচালনা করতে এটি সাহায্য করতে পারে।

যোগব্যায়াম অনুশীলন শরীরে পরিবর্তনগুলি অনুভব করতে এবং ক্ষুধা এবং মানসিক চাপের লক্ষণগুলি সনাক্ত করতে সাহায্য করে। এটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করতে এবং মানসিক চাপ আরও ভালভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।

কিছু যোগাসন শরীরের ভারসাম্য এবং সমন্বয় উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি বয়স্ক ডায়াবেটিস রোগীদের পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়।

যোগব্যায়ামের শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন (প্রাণায়াম) মনকে শান্ত করতে এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

33
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কোনটি ভালো?

সাধারণত, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য হাঁটা এবং যোগব্যায়াম উভয়ই উপকারী।

ওজন কমানো এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে হাঁটা ভালো। শক্তি, নমনীয়তা, মানসিক চাপ কমানো এবং কিছু অঙ্গের কার্যকারিতা উন্নত করতে যোগব্যায়াম ভালো।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রায়শই ডায়াবেটিস রোগীদের তাদের নিয়মিত ব্যায়ামের রুটিনে হাঁটা এবং যোগব্যায়াম উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন। কোনটি একজন ব্যক্তির জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত তা তাদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের অবস্থা, জীবনযাত্রা এবং পছন্দের উপর নির্ভর করে।

আপনি যদি উভয়ই করতে পারেন, তবে এটি আপনার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। অন্যথায়, আপনার প্রয়োজন অনুসারে যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন।

click me!

Recommended Stories