পেট ভরে লাঞ্চ মাত্র ৫ টাকায়, পুজোর মাসে চালু থাকবে এই ক্যান্টিন

  • করোনা মহামারী স্মৃতি উস্কে দিয়েছে ৭৬-এর
  • দেশ জুড়ে অরাজকতা, খাদ্যের অভাব
  • সংসার ধীরে ধীরে সঞ্চয় শূণ্য 
  • দুর্দিনে বিভিন্ন সংগঠন মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে

deblina dey | Published : Sep 27, 2020 8:24 AM IST / Updated: Sep 27 2020, 01:56 PM IST

করোনা মহামারী যেন আরও একবার প্রবীন নাগরিকদের মনে স্মৃতি উস্কে দিয়েছে ৭৬-এর মন্বন্তরের। অরাজকতা, খাদ্যের অভাব সব কিছু মিলিয়ে এক বিভীষিকাময় সময় যাপন। করোনারা জেরে লকডাউনেও খানিকটা সেই সময় ফের চোখে দেখলেন প্রবীণ নাগরিকরা। বেকারত্ব, খাদ্যে অভাব, চাকরির হারানো একের পর এক সংসার ধীরে ধীরে সঞ্চয় শূণ্য হওয়ার পথে। তবে এমন দুর্দিনে রাজ্যের বিভিন্ন সংগঠন, ক্লাব দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের কাঁধে সহানুভূতির হাত রেখেছে।

শুধু সামাজিক সংগঠন বললে ভুল হবে এই অসময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে বেশ কিছু রাজনৈতিক সংগঠনও। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দেশে লকডাউন শুরুর সময় থেকেই বামপন্থিদের শ্রমজীবী ক্যান্টিন খাবারের ব্যবস্থা করেছিল অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। এছাড়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথাকথিত তৃণমূল-ও ইতিমধ্যেই হাওড়ায় সএকেবারে স্বল্পমূল্যের ক্যান্টিন খোলার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এই ক্যান্টিনের নাম- ‘মমতার মমতা’। হাওড়ার পর রাজ্যের বারাকপুরের একটি ক্লাবও তৃণমূলের সহযোগীতায় এই সস্তার ক্যান্টিন শুরু করেছে।

বারাকপুর ও টিটাগড় এর দুটি ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে এই সস্তার ক্যান্টিনের নাম ‘দিদির রান্নাঘর'। একেবারে স্বল্পমূল্যে পেট ভরে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এই ক্যান্টিনে। জানা গিয়েছে মাত্র ৫ টাকায় এই ক্যান্টিনে পাওয়া যাচ্ছে দুপুরের খাবার। ১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এই ক্যান্টিন। চলবে টানা এক মাস। বেলা ১১ টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত খোলা থাকবে ‘দিদির রান্নাঘর'। অর্থাৎ পুরো পুজোর মাসে এখানে পেট ভরে খেতে পারবেন এলাকার স্থানীয় দুঃস্থ মানুষেরা। বারাকপুরের বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালের ঠিক উলটোদিকেই খোলা হবে এই ক্যান্টিন।

Share this article
click me!