গাড়ি নির্মাতাদের জন্য আজকের দিনটা উদযাপনের, আনন্দের। দিনের শুরুটা হল হুন্ডাইয়ের সুসংবাদ দিয়ে- গিনেস বিশ্ব রেকর্ডে কোনও ইলেক্ট্রিক কার স্থান পেয়েছে। তারপরই মারুতির সুজুকির খবর- সিয়াজ সবচেয়ে বেশি বিক্রিত গাড়ির তালিকায় একেবারে শীর্ষে রয়েছে। গত বছরে গাড়ি বিক্রিতে যে মন্দা দেখা দিয়েছিল তারপর থেকে এত বড় খুশির খবর আর আসেনি। এই দুটি খবরই গাড়ি শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষজনের কাছে অত্যন্ত আনন্দের। গত বছর মারুতি সুজুকি সিয়াজের মোট ২৯০০০ ইউনিট প্রিমিয়াম সেডান বিক্রি করেছে এ দেশে, যার ফলে মোট শেয়ারের ২৮ শতাংশেরও বেশি তাদের ঝুলিতে।
মারুতি সুজুকি সিয়াজ গাড়ি লঞ্চ করেছিল এই দেশে ২০১৪ সালে। তারপর চার বছর পর অর্থাৎ ২০১৮ সালে বেশ কিছু পরিবর্তন সাধিত হয়েছে- যেমন, ২০১৪ সালের মডেলে কেবল ১.৪ লিটার পেট্রল ইঞ্জিন এবং ১.৩ লিটারের ডিজেল মোটর ছিল, পরিবর্তনের পরে এখন ভারতে সিয়াজের তিনটি ইঞ্জিন অপশন আছে এবং এর মধ্য থেকে ক্রেতারা বেছে নেন নিজের পছন্দ। এখন ১.৫ লিটারের পেট্রল ইঞ্জিন, ১.৫ লিটারের ডিজেল ইঞ্জিন ও ১.৩ লিটারের ডিজেল ইঞ্জিন - সমৃদ্ধ সিয়াজ গাড়ি পাওয়া যায় বাজারে।
২০১৮ সালের আগষ্ট মাসে সিয়াজ ফিরে এসেছিল নতুন রূপে। সিয়াজের প্রিমিয়াম সেডান সেজে উঠেছিল অন্দরে ও বাহিরে। আকর্ষণীয় বহিরঙ্গ, আরমাদায়ক ও অভিজাত অন্দরসজ্জা, উন্নতমানের সুরক্ষা ও পারফরম্যান্স করার অঙ্গীকার নিয়ে মারুতি সুজুকি উপস্থাপন করেছিল নতুন সিয়াজ ২০১৮ সালে। নিরাপত্তার যে নিয়ম কানুন সরকারের বেঁধে দিয়েছিল তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাগু করেছিল, তার সঙ্গে ছিল পথচারীর সুরক্ষা। সামনের দিকে ছিল দুটি এয়ার ব্যাগ, আইওএসওএফ আই এক্স (আইএসওএফআইএক্স) শিশু নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, উচ্চ গতি নিয়ন্ত্রণের অ্যালার্ম, এবিএস (এবিএস) ও ইবিডি(ইবিডি)ব্যবস্থা ছিল সব ধরণের সিয়াজ মডেলে সুরক্ষা কবচ হিসেবে।
বাজারে সেডান গাড়ি চালু হওয়ার সময়কাল থেকে এখন অবধি মারুতি সুজুকি ২.৭৬ লাখ ইউনিট বিক্রি করেছে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে সিয়াজের আলফা মডেল (জেডএক্সআই/জেডডিআই),সমগ্র বিক্রির প্রায় ৫০ শতাংশ। সিয়াজের অটোমেটিক মডেল্গুলি বিক্রি হয়েছে মোট বিক্রির ১৭ শতাংশ।