গরম পড়ছে। ভাতের পাতে নিম বেগুন কিন্তু বেশ জমে যাবে এবার। নিমে রয়েছে অ্য়ান্টি ব্য়াকটেরিয়াল, অ্য়ান্টি ইনফ্লেমেটরি, অ্য়ান্টি ফাংগাল উপাদান। নিম পাতায় নিমবিন, নিম্বোলাইড, নিমানডিয়াল-সহ ১৩০ ধরনের এমন উপাদান আছে, যা রক্ত পরিশোধন করে ত্বকের স্বাস্থ্য়, চুলের স্বাস্থ্য়, মাড়ির স্বাস্থ্য় রক্ষা করে। এছাড়া ডায়েজেসটিভ ও রেসপিরেটরি সিস্টেম ভাল রাখে নিম।
নিমপাতায় থাকা জেডুনিন যৌগ, ম্য়ালেরিয়া চিকিৎসার জন্য় খুব কার্যকরী।
এককাপ নিমপাতা, যা মোটামুটি ৩৫ গ্রাম ওজনের নিমপাতা, তার থেকে পাওয়া যায় ৪৫ ক্য়ালোরি। পাওয়া যায় ২.৪৮ গ্রাম প্রোটিন, ৮.০১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ০.০৩ গ্রাম ফ্য়াট, ১৭৮.৫ মিলিগ্রাম ক্য়ালশিয়াম, ৫.৯৮ মিলিগ্রাম আয়রন, ৬.৭৭ গ্রাম ফাইবার, ৪৪.৪৫ মিলিগ্রাম ম্য়াগনেশিয়াম, ২৮ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ৮৮.৯ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ২৫.২৭ মিলিগ্রাম সোডিয়াম। নিম পাতায় ক্লিনজিং প্রপার্টি থাকার জন্য় তা শরীরকে বিষমুক্ত করে। নিম ক্য়ালশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় হাড়ের স্বাস্থ্য়ের জন্য় উপকারী। শরীরের বিভিন্ন গাঁটে নিমতেল ম্য়াসাজ করলে প্রদাহ ও ব্য়থা কমে।
রক্ত তৈরিতে আয়রনের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার দরকার নেই। জেনে রাখা ভাল, প্রতিদিন আমাদের শরীরে যে পরিমাণ আয়রনের চাহিদা থাকে, তার ২৮ শতাংশই জোগাতে পারে নিম।
নিমে থাকা নিমবোলাইড, কোয়ারসিটিন নামক অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ ও ক্য়ানসারের হাত থেকে রক্ষা করে। স্কিনের পিগমেনটেশন কমাতে নিমপাতা ও হলুদের গুঁড়োর পেস্ট খুব ভাল কাজ দেয়। রোজ নিমপাতা খেলে ত্বক ভাল থাকে।
নিমের অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট গুণাগুণ থাকার জন্য় তা হেয়ার ফলিকল বাড়াতে সাহায্য় করে। চুলে শ্য়াম্পু করার পর সেদ্ধ করা নিমের জল মাথায় দিলে খুসসি ও উকুনের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এতে অ্য়ান্টি ব্য়াকটেরিয়াল গুণাগুণ থাকার জন্য় আমাদের অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। আর অ্য়ান্টি ফাংগাল উপাদান থাকার জন্য়, আমাদের আর্দ্রতাজনিত অসুখবিসুখের হাত থেকে রক্ষা করে। দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে নিমের জুড়়ি মেলা ভার। বলাই বাহুল্য়, ডায়াবেটিসের জন্য় নিম খুব উপকারী।