কনসিলারের ব্যবহার অনেকেই জানেন। কনসিলার শুধু ত্বক উজ্জ্বল করতে নয় কনসিলার ব্যবহার করা যায় আরও নানা কাজে। সৌন্দর্যকে নিঁখুতভাবে ফুটিয়ে তুলতে মেকআপ করে থাকেন মহিলারা। সৌন্দর্যকে এক অন্য মাত্রা দিতে মেকআপের কোনও জুরি নেই। সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে ম্যাজিকের মত কাজ করার ক্ষমতা রাখে এই মেকআপ। তবে তার জন্য জানতে হবে নিঁখুতভাবে মেকআপ করার কৌশল।
ভালো মেকআপের প্রথম কথাই হল বেস মেকআপ। বেস ঠিক মত না হলে নিঁখুত মেকআপ কিছুতেই হবে না। বেস মেকআপের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল কনসিলার। তবে জেনে নেওয়া যাক কনসিলার ব্যবহারের খুঁটিনাটি। মেকআপের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল কনট্যুরিং। এই কনট্যুরিং-এর জন্য দামী প্রোডাক্ট না কিনে কাজ চালিয়ে নিন কনসিলার দিয়েই। এর জন্য প্রয়োজন দুটো শেডের কনসিলার। সেই কনসিলার দিয়েই হাইলাইট ও কনট্যুরিং দিয়ে কাজ চালিয়ে নিন।
আরও পড়ুন- গাঢ় রঙের লিপস্টিক বেশি পছন্দ, ব্যবহারের আগে জেনে নিন এই বিষয়গুলি
লিপস্টিক ব্যবহার করার আগেও ঠোঁটের আকার বা উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে ঠোঁটের চারপাশে লাগিয়ে নিন কনসিলার। এরপর লিপস্টিক লাগান। এতে লিপস্টিক বাইরে বেরিয়েও যাবে না আর ঠোঁট অনেক বেশি শার্প মন হবে। আইভ্রু মেকআপ নিঁখুত ভাবে করতে, ভ্রু উপরের ভাগে কনসিলার লাগিয়ে নিন। এতে আইভ্রু-র শেপ দেখতে সুন্দর লাগবে। সে রকমভাবে আই মেকআপ করার পর তা ব্রাইটও লাগে।
আইভ্রু-র শেপ ছাড়াও টানা আইলাইনার আঁকার জন্যও ব্যবহার করতে পারেন কনসিলার। এর জন্য আগে টানা আইলাইনার এঁকে নিন। শুকিয়ে গেলে ঘেটে যাওয়া অংশে কনসিলার দিয়ে ঢেকে দিন। আই মেকআপের আরও একটি বিশেষ কাজে ব্যবহার করতে পারবেন কনসিলার। আইশ্যাডো লাগানোর আগে কনসিলার দিয়েই প্রাইমার তৈরি করে নিন। এর উপর থেকে আইশ্যাডো ব্যবহার করুন। এতে আইশ্যাডো খুব ভাল ব্লেন্ড হয়। আবার তা টিকেও থাকবে অনেকক্ষণ অবধি।