পাহাড়ে অফবিট রুটের খোঁজ, শীতের মরশুমে ঘুরে দেখুন সিলারি গাঁও

  • শীতে পাহাড়ের অন্য মেজাজ উপভোগ করতে চান
  • পছন্দের তালিকাতে রাখুন সিলারি গাঁও
  • স্বস্তাতে অনবদ্য পাহাড় ভ্রমণ
  • অনবদ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কাড়বে

debojyoti AN | Published : Dec 5, 2019 1:39 PM IST

শীতের দিনে পাহাড় উপভোগ করার মজাই আলাদা। কোথাও স্তুপাকার বরফ, কোথাও আবার কম টুরিস্টের জেরে নির্ঝুম সকালের আনন্দ। এবার রইল এমনই এক জায়গার খোঁজ। পাহাড় পছন্দ করেন এমন মানুষের অভাব নেই। কিন্তু শীতের দাপট এড়াতে অনেকেই ডিসেম্বর-জানুয়ারি এড়িয়ে চলেন পাহাড়ি অঞ্চল। তবে সিলারিগাঁও এর রহস্যই ভিন্ন। এখানে পর্যটকেরা খুব একটা আসেন না। সম্প্রতি সকলের নজরে এসেছে এই স্থান। হাতে গোনা কয়েকটি হোমস্টে। সামনেই খাদ, আর অপরপ্রান্তে বিস্তির্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। এমনই এক মনোরম জায়গা গল সিলারি গাঁও। 

কীভাবে ঘুরবেনঃ এই এলাকাতে পৌঁছতে শিলিগুড়ি থেকে সময় লাগে ৬ ঘন্টা। ঠাণ্ডা তুলনামূলকভাবে বেশি। প্রথমে এসেই ফ্রেস হয়ে আসেপাশের এলাকা ঘুরে দেখা। খুব ছোট জায়গা, তাই পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখতে খুব একটা সময় লাগে না। বেশ কয়েকটি সূর্যদয় সূর্যাস্ত পয়েন্ট রয়েছে। পরের দিন পাশেই থাকা গ্রাম ইচ্ছেগাঁও ঘুরে আয়া যায়। সেখানেই সৌন্দর্য একই রকমের। পাহাড়ের কোলে বিলাসিতায় মোড়া নয়, হোমস্টে-তে যা পাওয়া যায় তাই খাওয়া সঙ্গে বর্নফায়ার। তিনদিনের জন্য এক কথায় অনবদ্য ট্রিপ। 

কীভাবে যাবেনঃ বিমান পথে বাগডোগরা, কিংবা ট্রেনে করে শিলিগুড়ি। সেখান থেকে গাড়ি পথে ছয় ঘন্টা মত লাগে এই জায়গায় পৌঁছতে। তবে রাস্তায় পড়ে বেশ কয়েকটি সুন্দর স্পট। যা দেখতে দেখতে পৌঁছে যাওয়া যায়। শেষের চার কিলোমিটার রাস্তা খানিকটা কষ্ট দায়ক হলেও, ওটাই বিশেষত্ব এই এলাকার। 

কোথায় থাকবেনঃ এখানে থাকার জন্য কোনও বিলাশবহুল বাংলো কিংবা হোটেল নেই। কাঠের ছোট ছোট হোমস্টে-তেই থাকতে হয়। যার ফলে রাতে ঠাণ্ডা একটু বেশি অনুভুত হয়। হোমস্টে হলেও, প্রতিটি জায়গাই বেশ সুন্দর। প্রকৃতির কোলে এক কথায় অনবদ্য এই স্থানে থাকতে গেলে অভিজ্ঞতা হবে খানিকটা ভিন্ন। তবে তা অন্যান্য ট্রিপের থেকে বেশ আলাদা।

খরচ কতঃ সব মিলিয়ে এই স্থান ঘুরতে খরচ হতে পারে মাথাপিছু ৬৫০০ টাকা। এই জায়গা থেকে শীতের এক অন্যরকম আমেজ নেওয়া যেতেই পারে। ফলে যদি স্বল্প দিনের পরিকল্পনা থেকে থাকে, তবে ঘুরেই আসা যায় এই জায়গা থেকে।

Share this article
click me!