
স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা দ্রুত ঘুরছে পৃথিবী। ফলে প্রতিদিনের দৈর্ঘ্য ২৪ ঘন্টার থেকে কম হচ্ছে কিছুটা। পৃথিবীর এই আবর্তনের গতিবৃদ্ধি চিন্তায় ফেলেছে বিজ্ঞানীদের। সায়েন্স অ্যাডভান্স-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে এই পরিবর্তনের জন্য সময় থেকে এক সেকেন্ড মুছে ফেলা হবে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পৃথিবীর আবর্তনের ব্যাপারে টাইমলাইনে নিখুঁত হিসেব ফিরিয়ে আনতে এক সেকেন্ড মুছে ফেলা জরুরি।
টাইম কিপাররা বলছেন এরকম ঋণাত্মক লিপ সেকেন্ড সংযোজন এর আগে কখনও করা হয়নি। এর ফলে পৃথিবীতে থাকা সমস্ত মানুষের জীবনের আয়ু থেকে এক সেকেন্ড করে সময় কমে যাবে। উদাহরণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, ১৯ জুলাই ২০২০ তারিখে পুরো ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১.৪৬০২ মিলিসেকেন্ড কম পরে যায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছরে এই রেকর্ড ২৮ বার ভেঙ্গে গেছে এবং সেই প্রত্যেকটি দিনেই ২৪ ঘন্টার মধ্যে ০.৫ সেকেন্ড কম অতিবাহিত হচ্ছে।
রিসার্চে দেখা গিয়েছে গত ৫০ বছর ধরে পৃথিবী তার নিজস্ব অক্ষ বরাবর একটি ঘূর্ণন সম্পন্ন করতে ২৪ ঘন্টার চেয়ে কম সময় নিয়েছে। কিন্তু ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে এসে এই প্রবণতা হঠাৎ বিপরীত দিকে বাঁক নেয় এবং দিন আরো নিয়মিতভাবে ছোট হতে শুরু করে। ফলে হিসেবে বেশ ফাঁক নজরে আসে।
সৌর সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পারমাণবিক সময় বজায় রাখার জন্য সেই ১৯৭০ সাল থেকে মোট ২৭ লিপ সেকেন্ড যোগ করা হয়ে থাকে। এভাবে সেকেন্ড যোগ হওয়ার কারণ বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছিলেন যে বছরের পর বছর ধরে পৃথিবীর একটি ঘূর্ণন সম্পন্ন করতে মোটামুটিভাবে ২৫ ঘন্টার সামান্য বেশি সময় লাগে। কিন্তু গত বছর থেকে পৃথিবী একটু কম সময় নিচ্ছে। তাই হয়ত আপনার জীবন থেকে পৃথিবীর ঘূর্ণনের সময় মেলাতে এক সেকেন্ড করে কাটা হতে পারে।