
সন্তানের মোবাইলের আসক্তি কমাতে এবং পড়াশোনার মনোযোগ বাড়াতে একটি নির্দিষ্ট সময়সূচী তৈরি করুন, স্ক্রিন টাইম সীমাবদ্ধ করুন, এবং ফোন ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট নিয়মকানুন তৈরি করুন। এর পাশাপাশি, তাদের বিকল্প বিনোদন যেমন খেলাধুলা এবং সৃজনশীল কাজে উৎসাহিত করুন এবং মুখোমুখি যোগাযোগের উপর জোর দিন।
* সময়সীমা নির্ধারণ: ফোন ব্যবহারের জন্য প্রতিদিন বা সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করুন।
* নিয়ম প্রয়োগ: এই সময়সূচীটি কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য পরিবারে একটি অভ্যাস গড়ে তুলুন, যা অতিরিক্ত ডিভাইস ব্যবহার এড়াতে সাহায্য করবে।
* ফোন দেখার সময় সীমাবদ্ধ করুন: সন্তানের জন্য যুক্তিসঙ্গত স্ক্রিন টাইম সীমা নির্ধারণ করুন, যা অতিরিক্ত ডিভাইস ব্যবহার রোধ করে একটি কাঠামোগত পরিবেশ তৈরি করবে।
* অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার কমানো: অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার এড়াতে স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় ট্র্যাক এবং সীমাবদ্ধ করুন।
* খেলাধুলা ও সৃজনশীলতা: মুখোমুখি যোগাযোগ এবং খেলাধুলাকে উৎসাহিত করুন, যা স্বাস্থ্যকর বিকাশ এবং মানসিক সুস্থতা বাড়ায়।
* অন্যান্য কার্যকলাপ: তাদের অন্যান্য শখ বা সৃজনশীল কাজে যেমন বই পড়া, ছবি আঁকা, বা গান শোনাতে উৎসাহিত করুন।
* মোবাইলকে দূরে রাখুন: পড়াশোনার সময় এবং রাতে শোবার সময় মোবাইল ফোন তাদের নাগালের বাইরে রাখুন।
* অভিভাবকের ভূমিকা: আপনি নিজে মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি ভালো উদাহরণ স্থাপন করুন। আপনার সন্তান যখন আপনার সামনে মোবাইল ব্যবহার করবে না, তখন তারা আপনাকে অনুসরণ করবে।
* যোগাযোগ: সন্তানের সাথে খোলাখুলিভাবে কথা বলুন এবং তাদের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করুন। তাদের আসক্তির কারণগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করার চেষ্টা করুন।
* প্রয়োজনে পেশাদার সাহায্য নিন: যদি আসক্তি খুব বেশি হয় এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে একজন পেশাদার মনোবিদের সাহায্য নিন।
চিকিৎসকেদের মতে, সামাজিক মেলামেশা ছোটদের মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। তাই মোবাইল ছেড়ে তারা যদি বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে খেলাধুলো বেশি করে, বা আঁকা, লেখা বা অন্যান্য শখ তৈরি করতে পারে, তা হলে বুদ্ধির বিকাশ ঘটে। একই সঙ্গে সামাজিক মেলামেশা তাদের একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে।