
শেষ পর্যন্ত ‘মনের মানুষ’-এর সন্ধানও পাওয়া গেলেও বিয়ে হলো কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। বহুদিন ধরে চেষ্টা চালানোর পর পাত্রী পছন্দ না হওয়ায় ঘটকের দ্বারস্থ হয় এই যুবক। তার পরিচিত ন’জন ঘটক একই সময়ে পাত্রী হিসাবে এক জনের নামই উল্লেখ করছিলেন। ঘটকালির উপর ভরসা করে সেই তরুণীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তরুণ। চার ঘণ্টার আলাপে তাঁর সঙ্গে আইনি বিয়েও সেরে ফেলেছিলেন যুবক। কিন্তু বিয়ের এক মাসের মাথায় বাজ পড়ল তরুণের মাথায়। দাম্পত্য জীবনের এক মাস কাটতে না কাটতেই তরুণের জমানো সব টাকা খরচ করে ফেললেন তরুণী। নতুন বৌয়ের হাবভাব দেখে সন্দেহ জেগেছে তরুণের।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ৪০ বছর বয়সি তরুণের নাম হুয়াং জ়ংচেং। দক্ষিণ চিনের হুনান প্রদেশের বাসিন্দা তিনি। বিয়ের জন্য পাত্রীর সন্ধান করছিলেন হুয়াং। একই দিনে তাঁর পরিচিত ন’জন ঘটক হুয়াংকে একই তরুণীর নাম প্রস্তাব করেছিলেন। তা দেখে তরুণীকে নিয়ে আগে থেকেই নিশ্চিত হয়ে পড়েছিলেন হুয়াং। চলতি বছরের ২১ অগস্ট সেই তরুণীর সঙ্গে ‘ব্লাইন্ড ডেট’-এ গিয়েছিলেন তিনি।
হুয়াংয়ের দাবি, সেই তরুণী স্থানীয় এক সালোঁয় কাজ করেন। এক কন্যাও রয়েছে তাঁর। প্রথম দেখায় পরস্পরকে পছন্দ হয়ে যায় তাঁদের। আলাপের চার ঘণ্টার মধ্যেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তাঁরা। হুয়াং জানান, দেখা করার চার ঘণ্টা পর সে দিন বিকেলেই আইনি বিয়ে সেরে ফেলেন তাঁরা। নিকটবর্তী একটি হোটেলে একসঙ্গে রাতও কাটান দু’জনে। হুয়াংয়ের দাবি, হোটেলে তাঁরা শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু পরের দিন সকাল থেকেই তরুণীর হাবভাব বদলে যায়। হুয়াংকে নিজের কাছে যেতেই দিচ্ছিলেন না তিনি। দু’দিন পর নাকি হুয়াংকে রোজগারের জন্য অন্যত্র চলে যাওয়ার অনুরোধ করে বসেন তরুণী। হুয়াংয়ের দাবি, আইনি বিয়ে সারার পর এক মাসও কাটেনি। সেই সময়ের মধ্যেই তাঁর সমস্ত সঞ্চয় ফুরিয়ে গিয়েছে। নানা অছিলায় হুয়াংয়ের কাছে টাকা চাইতে শুরু করেন তরুণী। এমনকি, তাঁর কন্যাকে কম্পিউটার কিনে দেওয়ার জন্যও হুয়াংয়ের কাছে টাকা দাবি করেন তিনি। শুধুমাত্র অর্থের প্রয়োজনে হুয়াংয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখেন তরুণী। অন্য সময় নাকি তাঁকে ফোনে পাওয়া যায় না।
আইনি বিয়ের এক মাস কাটতে না কাটতেই হুয়াং তাঁর সঞ্চয়ের সমস্ত খরচ করে ফেলেছেন। হুয়াংয়ের পরিস্থিতির কথা জানাজানি হতেই তাঁকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নেটাগরিকেরা।