
মেদ ঝরাতে হলে লাইফস্টাইলের যে সব বদল আনতে হয়, তা বর্তমান যুগে সকলেরই জানা। কিন্তু জানেন কি, নিয়মিত যৌন মিলনেও কমতে পারে ওজন! হ্যাঁ, ঘাম ঝরিয়ে কার্ডিও করে যেভাবে তরতরিয়ে ওজন কমে, ঠিক তেমনি ফল পাওয়া যায় সঙ্গমেও।
২০১৩ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, ২৪ মিনিটের যৌন মিলনে পুরুষদের ক্ষেত্রে ১০১ ক্যালোরি (প্রতি মিনিটে ৪.২ ক্যালোরি) এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৬৯ ক্যালোরি (প্রতি মিনিটে ৩.১ ক্যালোরি) কমে যায়। নিয়মিত সঙ্গমে লিপ্ত হন যাঁরা তাঁদের ক্ষেত্রে ৮০ থেকে ৩০০ ক্যালোরি এমনিতেই বার্ন হয়ে যাবে।
এখানে একটা হিসেব কষে নেওয়া যাক। ১ কেজি শরীরের ওজন মানে হল ৭,৭০০ ক্যালরির সমান। অর্থাৎ ৩০০ ক্যালরি ঝরাতে পারলে ওজন কমবে ০.০৩৪ কেজি। আর এটা করতে গেলে প্রায় ১ ঘণ্টা যৌন মিলনে লিপ্ত থাকতে হবে! অন্যদিকে, ১০ মিনিট দৌড়লে ঝরে ১১৪ ক্যালরি। সুতরাং এখান থেকে পরিষ্কার, ওজন কমাতে চাইলে শুধু যৌনতা নয়, শারীরিক পরিশ্রমও করতে হবে। তবে যৌন মিলন যেমন শরীরকে ফিট রাখবে, তেমনি মানসিকভাবেও ক্লান্তি-অবসাদ দূর করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঙ্গম চলাকালীন ডোপামিন হরমোন নিঃসরণ হতে থাকে। যার ফলে মেজাজ থাকে ফুরফুরে। সুতরাং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নানা দিক থেকেই সুস্থ যৌনতা জীবনকে সুন্দর ও আনন্দময় করে তুলতে পারে।
মিলনের প্রভাব শুধু যে মনের উপর পড়ে, তা নয়। শারীরিক অনেক সমস্যাও বশে রাখতে পারে যৌনক্রিয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারা রাত শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশ্রাম পাওয়ার পর ভোরবেলা অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। পাশাপাশি, যৌন উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে যে হরমোনগুলি, সকালবেলা তার মাত্রাও অনেক বেশি থাকে। তাই চরম তৃপ্তি পাওয়ার জন্য সকালের মিলন বিশেষ উপযোগী, এতে ক্যালোরি খরচও বেশি হয়।
১) মিলনের সময় বাড়াতে হবে বিভিন্ন যৌন ভঙ্গিমা বা পজিশন সেক্ষেত্রে উপযোগী। প্রয়োজন হলে সেক্স এডুকেটরের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
২) সঠিক ভঙ্গিমা বাছতে হবে যাতে পেশির উপর চাপ বেশি পড়ে। পেশির ব্যায়াম যত বেশি হবে ততই দ্রুত ক্যালোরি ঝরবে।
৩) গতি এবং সময়ও ফ্যাক্টর। সঠিক ভঙ্গি ও সময় মেনে চললে হার্টও ভাল থাকবে। পেশির শক্তি বাড়বে।
৪) শরীরের সঙ্গে মনের আনন্দ বাড়াতে নতুন জায়গা বেছে নিতে পারেন।
৫) সেক্সোলজিস্টের মতে, ভালবাসার মানুষটির সঙ্গে শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠতার মুহূর্ত যদি খুব রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে, তা হলে আপনার অজান্তেই ২৩০ ক্যালোরি ওজন ঝরিয়ে ফেলবেন আপনি।