একটানা ঘরে থাকতে থাকতে টানও যেন কমে যাচ্ছে একে অপরের প্রতি। প্রেমিক-প্রেমিকাই নন, স্বামী বা স্ত্রীর সম্পর্কেও যদি এরকম খটকা লাগে, তাহলেও ঘাবড়াবেন না।নজর রাখুন সঙ্গীর সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়।
একটানা ঘরে থাকতে থাকতে টানও যেন কমে যাচ্ছে একে অপরের প্রতি। শুধু প্রেমিক-প্রেমিকাই নন, স্বামী বা স্ত্রীর সম্পর্কেও যদি এরকম খটকা লাগে, তাহলেও ঘাবড়াবেন না। কারণ, এর উত্তর আপনি নিজেই বের করে ফেলতে পারবেন । নজর রাখুন সঙ্গীর সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়, আর নিজেই এর সমাধান বার করে নিন।
কাজের চাপে হোক কিংবা পরিস্থিতির চাপে অনেকেরই দেখা করাটা অনেকটাই কমে গেছে। যার ফলে সঙ্গীর প্রতি নজরদারিও কমেছে। অনেকসময় মনে হচ্ছে পার্টনার যেন আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটু বেশি সময় কাটাচ্ছে। আপনার সঙ্গে কাটানো সময়ের থেকেও যদি তা বেশি হয়, তখনই ধরে নিতে হবে আপনার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার চেয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিই বেশি আকর্ষণ অনুভব করছেন। আর তা থেকেই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। যা আপনাদের একান্ত সময়টাকে নষ্ট করে দিচ্ছে। আপনাদের একান্ত জীবনযাপন কি সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলসা করে দিচ্ছেন সঙ্গী? খেয়াল রাখুন তার করা পোস্টগুলোতে।আপনার সঙ্গে তার কীরকম সম্পর্ক, তার অনেকটাই কি প্রকাশ করছেন? সেক্ষেত্রে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন কিন্তু আর ব্যক্তিগত থাকছে না। এ বিষয়ে গোড়া থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
অনেকসময় দেখা যায় একই ডেস্কটপ ব্যবহার করেন তো দুজনে। সেক্ষেত্রে সঙ্গী কম্পিউটার থেকে উঠে যাওয়ার পর একঝলকে সার্চ হিস্ট্রিটা দেখে নিন । কোন জিনিসের প্রতি সঙ্গীর বেশি মনোযোগ তা অনায়াসেই বুঝতে পারবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার প্রতি আপনার সঙ্গী সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা ঠিক কী বোঝাতে চাইছে। তাঁদের সঙ্গে ভার্চুয়াল যোগাযোগটা কতখানি গভীর, সোশ্যাল মিডিয়াই আপনাকে সব তথ্যের জানান দেবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা কিন্তু একটা খারাপ বিষয়। অতীত সম্পূর্ণ না ভুলে পিছুটান রেখে যাওয়া, যা বর্তমানকে অত্যন্ত দুর্বিসহ করে তুলতে পারে। এমনটা হলে বুঝতে হবে, আপনার সঙ্গে সঙ্গীর মনের দূরত্ব অনেকটাই বাড়ছে। তার মন আর আপনার প্রতি নেই। প্রতিটা সম্পর্কে টানাপোড়েন থাকেই। তবে তা যেন স্থায়ী হয়ে না দাঁড়ায়, সেদিকে নজর রাখুন। সম্পর্কের প্রতি আরেকটু যত্নশীল হয়ে সঙ্গীকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। তবে কখনও কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ে আলোচনা করবেন কিন্তু তার উপর নির্ভর হবেন না। অনলাইনের সমস্ত বিষয়ে নিজে আপডেটেড থাকুন। গ্যাজেট থেকে শুরু করে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি সমস্ত বিষয়ে নিজে আপডেটেড থাকুন। যতটা পারবেন এই বিষয়গুলি নিজে হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করুন।