সম্প্রতি এমনই এক আশ্চর্যজনক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে গবেষণার দ্বারা। পুরুষদের তাজা ঘামের গন্ধে যেমন মহিলারা আকর্ষিত হতে পারেন, তেমনই তাঁদের শরীরও সুস্থ থাকে।
দুর্গাপুজোর মণ্ডপে ব্যাপক ভিড়, কিংবা, অফিস থেকে ফেরার পথে রাস্তার যানজট, যেখানেই মহিলারা উত্তেজনায় অস্থির, সেখানেই স্থিরতা আনতে পারে পুরুষদের গন্ধ। এ কোনও নামজাদা পারফিউমের বিজ্ঞাপন নয়, বাস্তবিক গবেষণাতেই উঠে এসেছে পুরুষদের ঘামের প্রতি মহিলাদের অজানা আকর্ষণের তথ্য। শুধুমাত্র মন ভালো করা নয়, মহিলাদের মানসিক চাপ এবং তার থেকে হওয়া ডায়াবিটিস এবং হৃদ্রোগের আশঙ্কাও কয়েক গুণ কমিয়ে দেয় পুরুষদের ঘামের গন্ধ।
কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলাম্বিয়া (ইউবিসি)-তে মার্লাইস হোফার নামের এক ব্যক্তির দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, কোনও মহিলা যদি মানসিক চাপে ভোগেন তাহলে তিনি নিজের পুরুষসঙ্গীর গন্ধ শুঁকলে মানসিক তৃপ্তি অনুভব করেন। এ ক্ষেত্রে পুরুষসঙ্গীর ব্যবহার করা যেকোনও জিনিসের গন্ধ বা তাঁর শার্টের গন্ধের কথা বলা হয়েছে। আরেকদিকে, উদ্বেগের সময় যদি কোনও মহিলার নাকে অপরিচিত কোনও ব্যক্তির গন্ধ আসে তাহলে তাঁর শরীরে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের সামাজিক সমস্যা গবেষণা কেন্দ্রের গবেষণায় দেখা গেছে যে, অ্যান্ড্রোস্টেনল হল পুরুষের শরীর থেকে উৎপন্ন হওয়া তাজা ঘাম থেকে তৈরি হওয়া গন্ধ, যা মহিলাদের ভীষণভাবে আকর্ষণ করে। মহিলারা আসলে পুরুষ ফেরোমোনের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। গবেষণায় এও প্রমাণিত যে, গায়ে সুগন্ধি পারফিউম লাগানো ব্যক্তির চেয়ে ঘামের গন্ধ থাকা ব্যক্তিই মহিলাদের কাছে অতিরিক্ত আকর্ষণীয় হয়ে থাকেন। কারণ, সুগন্ধির গন্ধটি মস্তিষ্কে অতিরঞ্জিত বা কৃত্রিম বলে গৃহীত হয়।
জার্নাল অফ পারসোন্যালিটি অ্যান্ড সোশ্যাল সাইকোলজিতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পুরুষসঙ্গী কাছে না থাকাকালীন অনেক মহিলাই সঙ্গীর টি-শার্ট পরেন, সঙ্গীর চাদরে ঘুমোতে ভালোবাসেন। তাঁরা হয়তো জানেন না যে, কেন তাঁরা এই আচরণগুলি করেন। পুরুষসঙ্গী কাছে না থাকলেও কেবল তাঁদের গন্ধই মহিলাদের মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমিয়ে দিতে পারে।