Sex with Colleague: আপনি কি নিজের সহকর্মীর সঙ্গে প্রায়শই উদ্দাম যৌনমিলনে লিপ্ত হয়ে পড়ছেন? তাহলে সাবধান!
মনোবিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন যে, যদি কোনও ব্যক্তি নিজের সহকর্মীর সঙ্গে বারবার যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতে থাকেন, তাহলে সেই সম্পর্ক কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবন, উভয় ক্ষেত্রেই সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে।
প্রেমের সম্পর্ক পৃথিবীর যেকোনও প্রান্তে যেকোনও অবস্থাতেই তৈরি হতে পারে। তবে, মানসিক যোগাযোগের সঙ্গে যদি শারীরিক বন্ধনও তীব্রতর হয়ে যায়, তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
মনোবিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন যে, যদি কোনও ব্যক্তি নিজের সহকর্মীর সঙ্গে বারবার যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতে থাকেন, তাহলে সেই সম্পর্ক কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবন, উভয় ক্ষেত্রেই সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে।
অফিস রোম্যান্সের সঙ্গে বিভিন্ন অন্তর্নিহিত জটিলতা জড়িয়ে থাকে। তা সত্ত্বেও, একটি সাম্প্রতিক RSVP ডেট অফ দ্য নেশন রিপোর্টে দেখা গেছে যে, ২৮ শতাংশ মানুষ নিজের অফিসের কলিগের সঙ্গে শারীরিক মিলনে জড়িয়ে রয়েছেন।
সম্পর্কের মনোবিজ্ঞানী জন আইকেনের মতে , খারাপ রোম্যান্সের পরিণতি হিসেবে প্রথমেই যা ঘটতে পারে, তা হল চাকরি হারানো।
তারপর আসে সম্পর্কের বিচ্ছিন্নতা এবং তার পরে আপনাকে নিয়ে চতুর্দিকে এমন কানাঘুষো শুরু হয়ে যেতে পারে, যা থেকে আপনি মানসিকভাবে একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারেন।
মনোবিজ্ঞানীর পরামর্শ হল, অফিসের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হলেও সেই সম্পর্কের মধ্যে যথাযথ সীমানা রাখা উচিত। কাজের জায়গাতেই সঙ্গীর দেহ স্পর্শ করা, চুমু খাওয়া, ইত্যাদি থেকে ক্ষতির সূত্রপাত হয়।
অফিসে যদি দুজন কর্মী একে অপরের ঊর্ধ্বতন বা অধস্তন হয়ে থাকেন, তাহলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। অন্যান্য সহকর্মীরা সবসময়েই মনে করবেন যে, ঊর্ধ্বতন কর্মী অধস্তন কর্মীকে সবক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, কাজে সুবিধা করে দিচ্ছেন। এইভাবে হিংসা তৈরি হতে পারে।
যদি আপনি নিজের যৌন সঙ্গীকে অফিসে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুবিধা করে না দেন, তখন সঙ্গীর সঙ্গেই সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করবে। অর্থাৎ, কোনওভাবেই আপনি নিজেদের এই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন না।
সেজন্য, সম্পর্ক-বিশেষজ্ঞ জন আইকেন পরামর্শ দিচ্ছেন যে, অফিসের মধ্যে সহকর্মীর সঙ্গে যদি সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তাহলে শরীরী মিলন থেকে দূরে থাকুন। নাহলে, একটি চূড়ান্ত অপমানজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।