ফ্রেন্ডস উইথ বেনেফিট! প্রতিশ্রুতিহীন সম্পর্কের দিকে কেন ঝুঁকছে নতুন প্রজন্ম

  • আজকের প্রজন্মের কাছে এক ধরনের সম্পর্ক ক্রমশ পরিচিত হচ্ছে
  • সেটি হল ফ্রেন্ডস উইথ বেনেফিটস
  • অর্থাৎ এমন বন্ধুত্ব যেখানে কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে
  • তবে সেই  সুবিধার বেশিরভাগটা জুড়েই রয়েছে যৌনতা
     

swaralipi dasgupta | Published : Aug 10, 2019 1:18 PM IST

সম্পর্কের কত রকমের রং হয় তা মাপা অসম্ভব বললে ভুল হবে না। সাধারণত সমাজ স্বীকৃত প্রেমের সম্পর্কের শেষ ধাপ বিয়ে। আর প্রেম না হলে দেখাশোনা করে সম্বন্ধ করে বিয়ে। কিন্তু এর বাইরেও বিভিন্ন সম্পর্ক থাকে। আজকের প্রজন্মের কাছে এক ধরনের সম্পর্ক ক্রমশ পরিচিত হচ্ছে। সেটি হল ফ্রেন্ডস উইথ বেনেফিটস। অর্থাৎ এমন বন্ধুত্ব যেখানে কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে সেই  সুবিধার বেশিরভাগটা জুড়েই রয়েছে যৌনতা। 

এই ধরনের সম্পর্কের কথা শুনলে সমাজ হয়তো রে রে করে উঠবে। কিন্তু আমাদের দেশও ধীরে ধীরে এই সম্পর্কের সঙ্গে সাবলীল হয়ে উঠছে। মূলত সম্পর্কের দায়বদ্ধতা, বা সম্পর্কে ভয় এসবেরর জন্যই ফ্রেন্ডস উইথ বেনেফিট-এর মতো সম্পর্ক বেছে নেন। 

আরও পড়ুনঃ সম্পর্কে রাগ পুষে রাখবেন না, অদূর ভবিষ্যতে বাড়বে জটিলতা

জেনে নেওয়া যাক ঠিক কী কারণে প্রতিশ্রুতিহীন ফ্রেন্ডস উইথ বেনেফিটস-এর মতো সম্পর্ক বেছে নিচ্ছে মানুষ। এর বিশেষ সুবিধাগুলি ঠিক কী রকম- 

১) জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে বন্ধুত্বের প্রয়োজন।  প্রত্যেক সম্পর্কের সমীকরণে বন্ধুতা দরকার হয়। কিন্তু সমাজের চাপিয়ে দেওয়া সম্পর্কের বাঁধনে সেই বন্ধুতাই যেন কোথায় চাপা পড়ে যায়। দায়বদ্ধতা, নিষেধাজ্ঞায় সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। কিন্তু এই ফ্রেন্ডস উইথ বেনেফিট সম্পর্কে বন্ধুত্বই আসল। যৌনতা থাকুক বা না থাকুক, বন্ধুত্ব থাকে। আর যে সম্পর্কে  দায়বদ্ধতার বোঝা নেই সেখানে প্রাণ খুলে যে শ্বাস নেওয়া যায় তা বলাই বাহুল্য। 

২) যৌনতাকে অস্বীকার করা যায়  না। কিন্তু তার জন্য সমাজের বলে দেওয়া সম্পর্কের মধ্যে আবদ্ধ হতে হয়। কিন্তু ফ্রেন্ডস উইথ বেনেফিটের মতো সম্পর্কে যৌনতার জন্য এই ধরনের স্বীকৃতি প্রয়োজন হয় না। আর যে সত্যিকারের বন্ধু সে বন্ধুত্বের অপব্যবহার করবে না বলেই আশা করা যায়। 

৩) প্রত্যেকের জীবনে এমন একজন প্রয়োজন যাকে সবটা সত্যি বলা যায়। সে কী ভাববে এই ভেবে চেপে যেতে হয় না এমন সম্পর্ক সবাই চায়। কিন্তু পাওয়া যায় না। আর দায়বদ্ধতায় মোড়া সম্পর্কে শেষ পর্যন্ত বহু রাখঢাক করেই চলতে হয়। কিন্তু এই সম্পর্কে সেই অবগুন্ঠনের প্রয়োজন হয় না। সহজেই সঙ্গীকে সমস্তটা বলা যায়। প্রয়োজনে সে পাশেও দাঁড়ায়। 

Share this article
click me!