
ছুটি পেলেই সবাই ছুটে যায় শীতে বরফ ঢাকা পাহাড় নয়তো গরমে সমুদ্রের ধারে। এবার তবে বর্ষায় ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন কী? বর্ষায় সবুজের সমারোহ, পাহাড়ি ঝর্না, ঠান্ডা হাওয়ায় দোলা দিয়ে যায় প্রকৃতিতে। তবে বর্ষা মানেই ভালো ঘোরা আর রোমান্স নয়—এর সঙ্গে আসে অপ্রত্যাশিত বৃষ্টি, জল কাদায় ভরা পথ, পোকামাকড়, আরও নানা ধরণের অসুবিধা। তাই প্ল্যান যতই নিখুঁত হোক না কেন, সঙ্গে যদি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না থাকে, তবে ট্রিপের আনন্দ মাটি হতে বেশি সময় লাগবে না। এই সময় বেড়াতে গেলে কী কী জিনিস অবশ্যই সঙ্গে রাখবেন, দেখে নিন।
১। জিওলিন ট্যাবলেট
বর্ষায় জলের মাধ্যমে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক বেশি। বাইরে মিনারেল ওয়াটার না পেলে জলের সঙ্গে জিওলিন মিশিয়ে নিন। এতে পেটের সমস্যা কমবে এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে বাঁচা যাবে।
২। গামবুট বা ওয়াটারপ্রুফ বুট
বৃষ্টির দিনে কাদা আর জমা জলের মধ্যে হাঁটাচলায় পা ভিজে যাওয়া, পিছলে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই গামবুট ব্যবহার করলে সুরক্ষাও থাকবে, পা জল কাদা লেগে ভিজবেও না।
৩। মসক্যুইটো রেপেলেন্ট ক্রিম
বর্ষায় মশার উপদ্রব খুব বেশি হয়, বিশেষ করে গাছপালা ঘেরা এলাকায়। তাই মশা দূরীকরণ ক্রিম ব্যবহার করলে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ থেকে বাঁচা সম্ভব।
৪। অতিরিক্ত ও দ্রুত শুকোনো পোশাক
বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া স্বাভাবিক। তাই এমন পোশাক বেছে নিন যা সহজে শুকিয়ে যায়। এবং ব্যাগে একটি এক্সট্রা পোশাক রাখুন যাতে প্রয়োজন হলে বদলাতে পারেন।
৫। জিপলক পাউচ বা ওয়াটারপ্রুফ স্লিভ
মোবাইল, টাকা, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জল থেকে বাঁচাতে জিপলক পাউচ ব্যবহার করুন। হালকা ও সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় এটি ট্র্যাভেল কিটে থাকা দরকার।
৬। ব্যাগ কভার
ব্যাকপ্যাক ভিজে গেলে ভেতরের জিনিসও ভিজে যাবে। তাই জলরোধক ব্যাগ কভার সঙ্গে রাখুন। এখন অনেক ব্যাগেই ইন্টিগ্রেটেড রেইন কভার থাকে।
৭। মাঝারি মাপের তোয়ালে
হালকা ও সহজে শুকোনো তোয়ালে ব্যাগে রাখলে বৃষ্টি ভিজে গেলে বা হাতমুখ মুছতে সুবিধা হবে।
৮। পাওয়ার ব্যাঙ্ক
বৃষ্টির ফলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিঘ্নিত হতে পারে। ফোনের ব্যাটারি ফুরিয়ে গেলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। তাই শক্তিশালী ও সম্পূর্ণ চার্জ দেওয়া পাওয়ার ব্যাঙ্ক সঙ্গে রাখুন।
৯। জলের বোতল
বাইরের অশুদ্ধ জল না খেয়ে নিজের সঙ্গে রাখা বোতলের বিশুদ্ধ জল পান করুন। হালকা এবং BPA-free বোতল বেছে নেওয়াই ভালো।