৭০ টিরও বেশি প্রজাতির সাপ ও বিরল প্রজাতির ছত্রাক পাওয়া যায় এখানে, রইল আগুম্বে-র কথা

Published : May 27, 2025, 02:42 PM IST
Agumbe

সংক্ষিপ্ত

পশ্চিমঘাটের কোলে আগুম্বে, ভারতের কিং কোবরা রাজধানী। এই বৃষ্টিবহুল অঞ্চলে ৭০ টিরও বেশি প্রজাতির সাপের পাশাপাশি বিরল প্রজাতির ছত্রাকও পাওয়া যায়। এখানে কিং কোবরার গবেষণা ও সংরক্ষণের জন্য রয়েছে আগুম্বে রেইনফরেস্ট এবং গবেষণা কেন্দ্র (ARRS)।

ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কর্নাটক রাজ্যের পশ্চিমঘাট পর্বতমালার কোলে অবস্থিত একটি ছোট্ট গ্রাম আগুম্বে। মাত্র ৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই গ্রামটি প্রায় ২,৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এবং এখানকার আবহাওয়া ও অতিবৃষ্টির জন্য একে “দক্ষিণের চেরাপুঞ্জি” বলা হয়। এখানে বছরে প্রায় ৭,০০০ মিমি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়, যা একে ভারতের সবচেয়ে আর্দ্র স্থানগুলির মধ্যে একটি করে তোলে।

ঘন রেইনফরেস্ট, পাহাড় ও জলপ্রপাতের মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের জন্য কেবল পর্যটকদের মধ্যেই নয়, জীববিজ্ঞানীদের জন্যও এক রত্নভাণ্ডার। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত আগুম্বে ভারতের কিং কোবরা রাজধানী হিসেবে পরিচিত। ৭০ টিরও বেশি প্রজাতির সাপের আবাসস্থল মিলবে এখানে। এছাড়াও এই রেইনফরেস্টে বহু বিরল প্রজাতির ছত্রাক যেমন Melioella agumbensis, Tarena agumbensis, Hygromastus agumbensis এবং Dactylaria agumbensis আবিষ্কৃত হয়েছে, যেগুলোর নামকরণও হয়েছে স্থানটির নামে।

ভারতের কোবরা রাজধানী

২০০৫ সালে, বিখ্যাত হারপেটোলজিস্ট রোমুলাস হুইটেকার বিখ্যাত সরীসৃপ কিং কোবরার গবেষণা ও সংরক্ষণের জন্য আগুম্বে রেইনফরেস্ট এবং গবেষণা কেন্দ্র (ARRS) স্থাপন করেন। এখান থেকেই ভারতে প্রথম কিং কোবরার উপর রেডিও টেলিমেট্রি প্রকল্প শুরু হয়। এই রিসার্চ কেন্দ্রের হারপেটোলজিস্টরা সাধারণত ফিল্ডে নেমেই কাজ করে। গবেষকরা প্রকৃতিতে মিশে থাকা সাপেদের আস্তানা খুঁজে বের করে তাদের গতিবিধি, আবাসস্থল, আচরণ, শারীরবিদ্যা, জেনেটিক্স এবং বিবর্তন ও প্রজনন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেন। হারপেটোলজিস্টরা এই ধরনের গবেষণার মাধ্যমে পরিবেশ ও বিপন্ন প্রজাতি সংরক্ষণ এবং জনসচেতনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

বিশ্বের দীর্ঘতম বিষাক্ত ও ভয়ংকর শিকারী হিসেবে কিং কোবরা সাপেদের রাজা এমনি এমনি নয়, পরিবেশে খাদ্য শৃঙ্খলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এরা। অন্যান্য সাপ, যেমন মারাত্মক বিষধর ক্রেট, এমনকি অন্য কোবরাকেও শিকার করে এরা। ফলে ওই অঞ্চলে সাপের সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত থাকে।

এই বিপন্ন প্রায় শিকারী প্রজাতির যদি পরিবেশ থেকে হারিয়ে গেলে বেশ কিছু সাপের প্রজাতি অতিদ্রুত সংখ্যায় বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে মানুষের বাসস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে এবং খাদ্য সংকটে পড়তে পারে অন্যান্য প্রজাতি, বিগড়ে যেতে পারে বাস্তুতন্ত্রের খাদ্যশৃঙ্খল।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

শীতকালে বাচ্চাদের ঘুরতে নিয়ে যেতে পারেন এই কয়টি জায়গায়, রইল সেরা ভ্রমণের ঠিকানা
আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিটের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?