
হালকা শীতের শিরশিরানি হাওয়া, মাথার উপরে খোলা আকাশ আর চোখের সামনে বহমান মাতলা নদী। মন চাইছে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার। কিন্তু সেই সুযোগ নেই কারোর। তবে একদিনে সফরে যদি যেতে চান যেতে পারেন এই মাতলা নদীর ধারে।
সুন্দরী প্রকৃতির এই রূপ কলকাতা শহর থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার দূরত্বেই পেয়ে যাবেন। কোথায়? দক্ষিণ ২৪ পরগনার কৈখালিতে।
মাতলা আর নিমানিয়ার সঙ্গমে অবস্থিত কৈখালি। এখানে মাতলা সাগর অভিসারী। তাই তার বিস্তারও বিশাল। মাতলার আড়ালে ঢাকা পড়ে থাকা নিমানিয়া যেন তাই একটু হলেও অভিমানী। এর ঢেউ নেই, পাড় ভাঙার কাজ নেই। নিতান্তই সাদামাটা। সাগরগামিনী নয়। তাই তার আত্মবিসর্জন ঘটেছে এই মাতলায়। নদীবাঁধের উপর ইট দিয়ে বাঁধানো পায়ে হাঁটার পথ। এক পশলা বা ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হলে ক্ষতি নেই। বরং উপভোগ করতে পারেন মাতলার রূপ পরিবর্তন। সেই সঙ্গেই রয়েছে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ। চাইলে অল্প দূরে সাগরদ্বীপেও ঘুরে আসতে পারেন।
মাতলা ও বাদাবন ছাড়াও কৈখালী যাওয়ার আরো দুটি কারণ রয়েছে। এইখানে রয়েছে নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রম। যেখানকার স্নিগ্ধ পরিবেশে আপনার মন শান্ত হবে। চাইলে আপনি এখানে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন। পাশাপাশি এখানে মধ্যাহ্নভোজও সারতে পারেন আপনি। কারণ এই রামকৃষ্ণ মিশনে কৈখালীতে আসা পর্যটকদের জন্য আবাসনও রয়েছে। যেখানে চাইলে আপনি রাত কাটাতে পারেন।
কোথায় থাকবেন ভাবছেন? ইচ্ছে হলে এখানে মতলার তীরে একটি রাত কাটাতে পারেন। পাশাপাশি কৈখালীতে পর্যটকদের আবাসন রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে রামকৃষ্ণ আশ্রমে থাকার জায়গা। তবে এখানে থাকার জন্য আগের থেকে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে।
কীভাবে যাবেন? শিয়ালদহ থেকে ট্রেন ধরে জয়নগর-মজিলপুর। সেখান থেকে ট্রেকার, অটো বা ভ্যানে জামতলা হাট হয়ে কৈখালি। সড়ক পথে যেতে হলে গড়িয়া-বারুইপুর-জয়নগর, মজিলপুর-নিমপীঠ হয়ে পৌঁছাতে পারেন কৈখালিতে। তার পর শুধু প্রকৃতি আর আপনি। কোনও প্রশ্ন নয়! শুধুই শান্তি।