পকেটের কথা ভেবে তুষারের দেশে যেতে পারছেন না! রইল সস্তায় ভ্রমণের সেরা কিছু ঠিকানা

Published : Dec 17, 2025, 03:19 PM IST
snow fall continues in kashmir

সংক্ষিপ্ত

Travel Tips: সারা বছরই মানুষ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়ে প্রিয়জনের সাথে আনন্দ উপভোগ করে। শীতকাল এলেই বড়দিনের সময় অথবা নিউ ইয়ার উপলক্ষে কিছুদিন ছুটি কাটিয়ে আসতে পছন্দ করে অনেকেই। 

Travel Tips: বরফের দেশে ঘুরতে যেতে কেনা পছন্দ করেন সেটা যদি গরম কালে হয় মার্চ এপ্রিলের দিকে অথবা পূজোর ভ্যাকেশন বা ডিসেম্বর জানুয়ারি মাসের ক্রিসমাস ভ্যাকেশনে অথবা নিউ ইয়ার সেলিব্রাসনে। অতিরিক্ত বরফ দেখা, তাও যদি আবার ১৫ হাজার টাকায় আপনি ঘুরে আসতে পারেন সেক্ষেত্রে আরোই ভালো হয়। ভারতের কিছু কিছু জায়গা আছে যেগুলিতে ঠান্ডার সময় তুষারপাত দেখতে অনেকেই যেতে চান। আপনার পকেট ফ্রেন্ডলি বাজেটের মধ্যে ঘুরে আসতে পারেন সেরকমই কিছু জায়গা। দেখুন সেই জায়গাগুলি কি কি!

ছাঙ্গু ও নাথুলা : বরফ দেখতে হলে শীতে সিকিম চলে যান। এই মরশুমে ছাঙ্গু লেকের জল জমে বরফ হয়ে যায়। নাথু লা ঢেকে যায় বরফের সাদা চাদরে। তার সঙ্গে তাপমাত্রা মাইনাসে নেমে যায়। এই রুটে অনেক সময়ে বরফ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এই ছাঙ্গু, নাথু লা হয়ে কুপুপ, নাথাং ভ্যালি, জ়ুলুকও যেতে পারেন। এই জায়গাগুলোও শীতে বরফে ঢাকা থাকে। এখানেও তুষারপাত দেখতে পেতে পারেন। এই গোটা ট্রিপের খরচও মাথাপিছু ১৫ হাজারের মধ্যেই কমপ্লিট করে ফেলতে পারেন।

আউলি: ভারতের উত্তরাখণ্ডের নীলকণ্ঠ, নামা পর্বত, নন্দাদেবী পর্বতমালার মাঝে ২৮০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত শুভ্র প্রস্তর তুষারে ঢাকা হিল স্টেশন আউলি, যেখানে রয়েছে এশিয়ার দীর্ঘতম এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম রোপওয়ে স্টেশন (৩.৭৫ কিমি)। আউলি উত্তরাখণ্ডের হিমালয় পর্বতমালার চামোলি জেলায় অবস্থিত। গড়ওয়ালিতে আউলি ‘বুগিয়াল’ নামে পরিচিত, যার অর্থ হলো তৃণভূমি। আউলি উপত্যকায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিপন্ন প্রজাতির ফুল, উদ্ভিদ(প্রায় ৫২০ রকমের) দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও সংযুক্ত ও গাছের বন দ্বারা ঘেরা উপত্যকাটি পর্যটকদের এক মনোরম দৃশ্য প্রদান করে। শীতকালীন অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের এক অন্যতম জায়গা এই আউলি। শীতকালে এখানে এক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

সান্দাকফু:

বরফে ঢাকা সান্দাকফু এক জাদুকরী শীতকালীন রূপ ধারণ করে।যেখানে চারদিকে শুভ্র বরফের চাদর, তাপমাত্রা হিমাঙ্কের কাছাকাছি (০-৫° সেলসিয়াস), চারপাশ শান্ত ও নির্মল থাকে, যা ট্রেকারদের জন্য এক মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা। এখান থেকে এভারেস্ট, কাঞ্চনজঙ্ঘা-সহ বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গগুলির শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য দেখা যায়, যা পর্যটকদের কাছে এক স্বপ্নের গন্তব্য।

শীতকালে (ডিসেম্বর থেকে মার্চ) সান্দাকফু বরফের সাদা চাদরে ঢেকে যায়, বরফ দেখতে যাওয়ার জন্য এই সময়টা সবথেকে সঠিক সময়। যা পুরো এলাকাকে এক স্বপ্নের রাজ্যে পরিণত করে। চারিদিকে শুধু বরফ, পাহাড়ের চূড়া ও উপত্যকা বরফের পুরু স্তরে ঢাকা থাকে, যা এক শান্ত ও পবিত্র পরিবেশ তৈরি করে।

এই সময়ে তাপমাত্রা ০ থেকে ৫° সেলসিয়াস বা তার নিচে নেমে যায়। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে প্রায়শই তুষারপাত হয়, যা পরিবেশকে আরও মোহময় করে তোলে।

বরফের আবরণের মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার আকাশে বিশ্বের চারটি সর্বোচ্চ শৃঙ্গ (মাউন্ট এভারেস্ট, কাঞ্চনজঙ্ঘা, লোৎসে, মাকালু) দেখা যায়, যা এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।

এই সময়ে ট্রেকাররা বরফের ওপর দিয়ে হাঁটার আনন্দ পান, চারিদিকে বরফের স্তূপ দেখতে পান।হোমস্টেগুলোতে কয়লা ভর্তি 'কাংড়ি' নিয়ে উষ্ণতা উপভোগ করেন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

দীঘায় বড়দিনের ছুটি কাটাতে এবার চলে যান পর্তুগিজ পাড়ার হোমস্টেতে
ভারতের এই ৬টি জলপ্রপাত দেখে আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য