
Travel Tips: দেওগড় একটি পাহাড়-অরণ্য অঞ্চল এবং শীতকালে এখানে ভ্রমণ করা একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা হতে পারে। যদিও নির্দিষ্ট "দেওগড়" সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য কম, তবে এটি একটি পাহাড়ি গন্তব্য, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শান্ত পরিবেশের জন্য পরিচিত। এই শীতে দেওগড়কে বিবেচনা করার জন্য, এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শান্ত পরিবেশের কথা মনে রাখা যেতে পারে।
* প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: দেওগড় পাহাড় এবং ঘন অরণ্যে ঘেরা, যা শীতকালে এক মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করে।
* শান্ত পরিবেশ: যারা শহুরে কোলাহল থেকে দূরে নিরিবিলি সময় কাটাতে চান, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ স্থান।
* পাহাড়ে হাঁটাচলা: এখানে বিভিন্ন পাহাড়ী পথ রয়েছে, যেখানে আপনি ট্রেকিং বা হাইকিং করতে পারেন। তবে, পাহাড়ে হাঁটার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
* পর্যটন: দেওগড়কে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে দেখা হয়। এখানে থাকার জন্য হোটেল বা ক্যম্প-এর সুবিধা থাকতে পারে।
* পর্যটনের সেরা সময়: শীতকাল দেওগড় ভ্রমণের জন্য সেরা সময়, কারণ এই সময় আবহাওয়া মনোরম থাকে।
পরিবহন: দেওগড় যাওয়ার জন্য ট্রেন বা বাস ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য ব্যক্তিগত যানবাহন বা ট্যাক্সি সুবিধাজনক হতে পারে।
আবাসন: দেওগড়ে থাকার জন্য বিভিন্ন হোটেল এবং ক্যম্প রয়েছে। আপনার বাজেট এবং সুবিধা অনুযায়ী একটি বিকল্প বেছে নিতে পারেন।
ট্যুর: দেওগড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য একটি গাইড নেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও, আপনি একা বা বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ করতে পারেন।
* দু’রাত তিন দিনের কী ভাবে সাজাবেন আপনার ভ্রমণসূচি?
সকালে পৌঁছতে পারলে খাওয়া-দাওয়া সেরে বেড়িয়ে পড়ুন প্রধানপাট জলপ্রপাত দেখতে। ঘুরে নিন বসন্ত নিবাস। মধ্যাহ্নভোজ সেরে বিকেলের দিকে চলুন গোহিরা বাঁধে। সূর্যাস্তের সময় দারুণ লাগবে। পড়ন্ত বিকেলটা এখানেই উপভোগ করুন। বাঁধের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করুন এবং কাছেই অবস্থিত শিব মন্দির দর্শন করুন। সন্ধ্যায় ঘুরে নিতে পারে দেওগড়ের স্থানীয় হাট-বাজার।
দ্বিতীয় দিনে প্রাতরাশ সেরে বেরিয়ে পড়ুন জগন্নাথ মন্দির দর্শনে। কৈলাস প্যালেস,কটাসর ঘাট, বনদুর্গা মন্দির ঘুরে নিন। গাছগাছালির মধ্যে বসে জিরিয়ে নিন কিছুটা সময়। শহরে ফিরে এসে ঝাড়েশ্বর মন্দির দর্শন করুন। তিন দিন ঘোরার জন্য গাড়ি বুক করে নেওয়াই সবচেয়ে ভাল।
তৃতীয় দিনে ঘুরে নিন কুরুদকুট এবং দেওঝরন জলপ্রপাত।
অন্যান্য টিপস : শীতকালে ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত গরম কাপড় নিয়ে যান। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র এবং প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম সাথে রাখুন। পাহাড়ে হাঁটার সময় সঠিক জুতো পরুন। রাস্তার পাশে থাকা স্থানীয় বাজার থেকে শুকনো খাবার বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নিতে পারেন। পরিবেশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সম্মান করুন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।