
Offbeat Travel News: উৎসবের মরশুম মানেই লম্বা ছুটি। আর পুজোর সময় সবাই-ই যে বাড়িতে থাকতে পছন্দ করেন তেমনটা কিন্তু মোটেও নয়। পুজোর কটা দিন শহরের কোলাহল থেকে দূরে একান্তে সময় কাটাতেও অনেকেই পছন্দ করেন। তাদের জন্য রয়েছে উত্তরবঙ্গের সেরা অফবিট ঠিকানা।
চেনাপরিচিত পাহাড়ের বদলে আপনি যদি একটু অন্যরকম ভ্রমণের স্বাদ নিতে চান। তাহলে ঘুরে আসতে পারেন উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের এই অফবিট গ্রাম থেকে। বেশি লাগবে না। পুজোর মাত্র তিন দিনের ছুটিতে প্রিয়জনের সঙ্গে মন হারাতে পারেন এইখানে। একটানা পড়াশোনা বা কাজের ব্যস্ততায় প্রাণ ওষ্ঠাগত। মন চায় একটু ছুটি। অথচ পুজোর কটা দিন ছাড়া আর লম্বা ছুটি নেই। তাই একটু অপেক্ষা করে নেওয়াই ভালো। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে শুক্র-শনি-রবি পর পর তিনদিনের লম্বা ছুটি। কাজে লাগানো যাবে ভ্রমণে বেড়িয়ে।
ভিড়ভাট্টা আর কোলাহল থেকে দূরে প্রকৃতির কোলে একটু নিশ্চিন্তে সময় কাটাতে চাইলে আপনার গন্তব্য হতে পারে ডুয়ার্সের এক অফবিট গ্রাম - বুড়িখোলা। পাহাড়ি নদী, ঘন জঙ্গল, মনোরম পরিবেশের মাঝে একটিমাত্র হোমস্টে — প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক স্বর্গীয় ঠিকানা।
কেমন এই বুড়িখোলা?
ডুয়ার্স মানেই সবুজের সমুদ্র, নদী, বন্যপ্রাণ আর অফবিট লোকেশন। তারই মাঝে ডুয়ার্স থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে পেয়েও যাবেন মন হারানোর ঠিকানা। শান্ত, ছিমছাম ও অপরূপ সৌন্দর্যের অধিকারী বুড়িখোলা অনায়াসে মন কাড়বে আপনার। যেদিকেই তাকাবেন বিস্তর সবুজ মাঠ ও বড়ো বড়ো গাছের সমাহার। চোখ বন্ধ করলেই শুনতে পাবেন শুধু ঝরনার শব্দ, পাখির কলতান আর গাছের পাতায় বাতাসের শিরশিরানী।
থাকার ব্যবস্থা কেমন?
বুড়িখোলায় রয়েছে একটি মাত্র হোমস্টে - বুড়িখোলা ইকো ট্যুরিজম হোমস্টে। তাই আগে থেকে বুকিং করে নেওয়াই ভালো। মালবাজার থেকে ডামডিম হয়ে জঙ্গলপথে নিজেরা গাড়ি নিয়ে আসতে গেলে হোম স্টের লোককে সঙ্গে রাখা ভাল, কারণ রাস্তার সঙ্গে তাদের পরিচিতি বেশি।
হোমস্টের সামনে দিয়েই বয়ে চলেছে পাহাড়ি নদী। নদীর ওপারেই শাকামের জঙ্গল। এ নদীর পাড় দিয়েই হাতির পালও হেঁটে চলে, শাকামের জঙ্গলে তাদের আস্তানা। এ পথে নিশ্চিন্তে খেলে বেড়ায় ময়ূরের দলও।
কীভাবে পৌঁছাবেন বুড়িখোলা?
ট্রেনে করে গেলে মালবাজার বা নিউ মাল জংশন তর্কে আপনাকে গাড়ি ধরতে হবে। ডামডিম–গরুবাথান রুট ধরে এগোতে হবে। গরুবাথান ঢোকার আগেই ডান দিকে বেঁকে বুড়িখোলার দিকে যেতে হয়। আর নিজের গাড়িতে করে এলে হোমিস্টের কারজে সত্যে রাখবেন পথ চেনার সুবিধার্থে।
বুড়িখোলার সৌন্দর্য শুরু হয়ে যায় মালবাজার পার করে গরুবাথানের দিকে খানিক এগোলেই। মসৃণ পিচের রাস্তার দু’পাশে বিস্তর সবুজ, উঁকি দেয় পাহাড়।
বিশেষ আকর্ষণ
ডুয়ার্স ও বুড়ি খোলার সবুজ সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি উপভোগ করতে পারবেন জঙ্গল সাফারি। ১৫ সেপ্টম্বরের পর থেকে জঙ্গল খুলে যায়। তারপরে এলে শাকামের জঙ্গলও গাড়ি নিয়ে ঘোরা যাবে। কপাল ভালো থাকলে বয়ে যাওয়া নদীর তীরেই দেখা মিলবে হাতির পাল।
অতিরিক্ত আরও দুদিন সময় পেলে বুড়িখোলা থেকেই ঘুরে আসুন লাভা ও কালিম্পং -এর কোনও গ্রাম। অথবা দেখে নিতে পারেন গরুবাথান, ডামডিম, কিংবা চালসা। মন ভালো হয়ে সতেজ হয়ে উঠবে শরীরও। পুজোর ছুটি কাটিয়ে কাজে ফিরতেও লাগবে রিফ্রেশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।