অবসাদে এক নম্বর ভারত, মৃত্যুর দিকে এগোচ্ছে অল্প বয়েসিরা, রিপোর্টে স্তম্ভিত গোটা দেশ

এই মুহুর্তে তিরিশ কোটি বিশ্ববাসী অবসাদের শিকার।  আর এর মধ্যে সবচেয়ে প্রথমেই আসবে ভারতের নাম। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

arka deb | Published : Apr 20, 2019 2:28 PM IST

শরীরেরে সামান্য অসুখ হলেই হাজির ডাক্তার বদ্যি। কিন্তু মনের স্বাস্থ্য, তার খবর রাখে কে! অথচ মনের স্বাস্থ্যে অবনতি মানুষকে অনায়াসে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে সহজেই। আরও বিশদে বললে এই অজ্ঞানতা ও উদাসীনতার অন্ধকারেই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছে লক্ষ ভারতীয়।

বিষয়টা আরও খোলসা করে বলা যাক। ন্যাশানাল কেয়ার অফ মেডিক্যাল হেলথ এর দেওয়া তথ্য থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানাচ্ছে, এই মুহুর্তে তিরিশ কোটি বিশ্ববাসী অবসাদের শিকার।  আর এর মধ্যে সবচেয়ে প্রথমেই আসবে ভারতের নাম। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানসিক রোগ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে, মানসিক চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, মনোবিদের সংখ্যা সেই তুলনায় হাতে গোনা।  ২০১৪ সালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতবর্ষে প্রতি ১০০০০০ জনে ১জন চিকিৎসক বরাদ্দ। এই সমীক্ষা থেকেই জানা যাচ্ছে ভারতে আত্মহত্যার হারও উল্লেখযোগ্য ভাবে বেশি। প্রতি ১ লক্ষে ১০.৯ জন আত্মহত্যা করেন। বেশির ভাগ আত্মহত্যাকারীর বয়েসই ৪৪ এর নীচে।  অ্যাংজাইটি, বাইপোলার ডিসঅর্ডার, স্কিৎসোফেনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন।

এখানেই শেষ নয়, সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, বেড়ে ওঠার দিনগুলিতে টিন এজাররা ভয়াবহ ভাবে অবসাদে আক্রান্ত হচ্ছে।  ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়েসি ভারতীয় ছেলেমেয়েদের মৃত্যুর তিনটি কারণের একটি এই অবসাদ।

কিন্তু কেন অল্প বয়েসিদের মধ্যে মহামারির মতো ছড়াচ্ছে এই মনোরোগ? বিশেষজ্ঞদের মতে, বৃহত্তর পরিবার ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ছেলেমেয়েদের একলা করছে। এর সঙ্গে এসে জুড়েছে ফাস্টফুড ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রাণঘাতী নেশা। তাছাড়া রয়েছে কেরিয়ারের অনিশ্চয়তা। এই সবের মিশেলেই প্রতিদিন একটু একটু করে মৃত্যু অনুসারী হচ্ছে ভারতীয় ছেলেমেয়েরা।

শুধু ছোটরাই নয়, বড়রাও নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে অপরিসীম উদাসীন। আসলে সমাজের 'পাগল' দেগে দেওয়ার ভয় এখনও গ্রাস করেছে ভারতের মত দেশগুলিতে। ভয়, কুসংস্কার কাটিয়ে মনোবিদের হাত না ধরলে আশু বিপদ, সাফ জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

Share this article
click me!